Monday, May 26, 2025
বাড়িরাজ্য২০২৭ সালের মধ্যে রাজ্যের ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনার...

২০২৭ সালের মধ্যে রাজ্যের ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনার আওতায় আনা হবে : রতন লাল নাথ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৪ মে : ত্রিপুরা রাজ্যে গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। মাটির নিচে গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে। তাই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সোলারের দিকে। পালাটানা ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট। মনারচক ১০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা থাকলেও মাত্র ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে। আর সি নগর ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা, কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৮০ মেগাওয়াট।

কারণ দিন দিন মাটির নিচে গ্যাস কমে যাচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে জলবিদ্যুৎ নেই বলা চলে। একমাত্র ছিল গোমতী প্রজেক্ট জলবিদ্যুৎ রয়েছে। এই গোমতী প্রজেক্ট গত বন্যায় পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সোলারকে। বর্তমানে সরকারের গ্যাসের ব্যাসের কোন পরিকল্পনা নেই। সরকার সোলার ব্যাস গুরুত্ব বেশি দিচ্ছে। তবে রুখিয়াতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো সেই গ্যাস দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার চেষ্টা চলছে। রুখিয়াতে যেখানে ৬৩ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা, সেখানে একই গ্যাস দিয়ে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে টেন্ডার করা হয়েছে।

রবিবার মহাকরণের নিজ কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, সরকার সবচেয়ে বেশি সোলারকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনার সম্পর্কে ধারণা করতে পারবে না অনেকে। এর সুবিধা হলো, নিজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে, বিদ্যুৎ নিগম এর কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে এবং কখনো বিদ্যুৎ নিগমকে বিল দিতে হবে না। এই সুবিধার আওতায় এসে এখন পর্যন্ত ৭০ জন গ্রাহক ৩০ হাজার ৯০২ টাকা পেয়েছে। তিন মাস অন্তর অন্তর ভোক্তারা এই সুবিধা পাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতাধীন হতে গ্রাহকদের জন্য সুবিধা থাকবে আগামী ২০২৭ সাল মার্চ মাস পর্যন্ত। এবং গ্রাহকদের সাবসিটি হিসেবে সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ২০২৭ সালের মধ্যে রাজ্যের ৫০ হাজার গ্রাহককে এই সোলার পরিষেবার ভেতর আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কারণ রাজ্যে সর্বোচ্চ ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তাহলে রাজ্যে ১৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ১ মে পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫৩৬ জন গ্রাহক অনলাইন পোর্টালে প্রধানমন্ত্রী বিজলী মোফত যোজনার পরিষেবা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ২৬৬ জনের বাড়িতে সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ভর্তুকি পেয়েছেন ১৮৪ জন। এই ভর্তুকি মাত্র এক মাসের মধ্যে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, ৭০ জনের বিদ্যুৎ বিল শূন্য হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ক্রয় করছে সাত টাকা ৫৬ পয়সা। ভোক্তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ দুই টাকা পয়ষট্টি পয়সা ইউনিট করে ক্রয় করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের যতগুলি সরকারি পাকা ভবনের জন্য সমস্ত টাকা ভবনের মধ্যে সোলার বসিয়ে দেওয়া হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!