স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৪ মে :দাঁড়িয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৩৮০ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগের উত্তীর্ণ হল জটিল রোগে আক্রান্ত সন্দীপ দাস। তার বাড়ি করাছড়িতে। বর্তমানে কমলপুর কমলেশ্বরী কালীবাড়ি পাড়া এলাকায় থাকেন। বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে সে পড়াশোনা করছে। তার ফলাফলে পরিবার এবং এলাকাবাসী অনেক খুশি হলেও শারীরিক জটিল রোগে আক্রান্ত সন্দীপ দাস। বাবা ফেরিওয়ালা। বন্ধন থেকে তিনবার ঋণ নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করেছেন। এখন অর্থের অভাবে সংসার চলছে না। সন্দীপের মা জানান, তার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। তার মূলবাড়ি কলাছড়িতে।
কিন্তু থাকে বর্তমানে কমলেশ্বরী কালীবাড়ি পাড়ায়। সে ভালো ফুটবলার ছিল। তারা সংসারে চারজন। বাবা, মা, দুই ছেলে মিলে চারজনের সংসার। তার নাম সন্দীপ দাস। বাবার নাম স্বপন দাস। সে গত একবছর যাবৎ সে মারাত্মক এক রোগে ভুগছে। তার মেরুদণ্ডের নিচে একটি টিউমার হয়েছে। গত ডিসেম্বরে তার অস্ত্রপ্রচার হয়। তারপরেও তার রোগ নির্মূল হয়নি। রোগ নিয়েই সে এইবার দাঁড়িয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এবং সে ৩৮০ নম্বর পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবে তাকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার পরিবার চারবার বন্ধন থেকে ঋন নেয়। কিন্তু ছেলের চিকিৎসা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। তার আরো চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাদের সেই সামর্থ নেই। তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। একইভাবে কাতর সুরে সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার দাবি করলেন জটিল রোগে আক্রান্ত মেধাবী সন্দীপ।