Wednesday, February 12, 2025
বাড়িরাজ্যবাজারে অভিযান সদর মহকুমা প্রশাসনের

বাজারে অভিযান সদর মহকুমা প্রশাসনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মে : অবশেষে কুম্ভ নিদ্রা ভাঙলো প্রশাসনের। দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত এক নাটক মঞ্চ তৈরি হয়েছে রাজ্যের বাজারগুলিতে। প্রথমত একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীদের দাবি পেট্রোল, ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী বলে অজুহাত তুলে। আবার গত এক সপ্তাহ যাবত আসামে ভয়াবহ বন্যায় রেলপথ এবং সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি তুলে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্য মর্জি মাফিক বৃদ্ধি করে চলেছেন একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী।

এ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে গিয়ে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাদের অভিযোগ চাল, ডাল, রান্নার ভোজ্য তেলের মূল্য ব্যবসায়ীরা মর্জি মাফিক দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে চলেছে। একই অবস্থা আলু, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সবজির মূল্যও। অবশেষে বৃহস্পতিবার বাজার অভিযানে বের হয় সদর মহকুমা প্রশাসন। অভিযান চালায় বাজারের বিভিন্ন দোকানে। খতিয়ে দেখেন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্য। কিন্তু অভিযানে ব্যাপক অনিয়ম প্রত্যক্ষ করতে পারেন সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা। অভিযানের পর সদর মহকুমা শাসক জানান, বাজারে অভিযান চালিয়ে দেখা হচ্ছে গত কয়েকদিনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্য পরিবর্তন হয়েছে কিনা। কারণ একপ্রকার বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়ে আছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আলু পিঁয়াজের খুচরা মূল্য প্রতি কিলো ২২-২৩ টাকা রয়েছে। ক্রেতাদের কাছে আলু পিঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকায়, মরিচ ১৪০ টাকা কিলো। গত কয়েকদিনে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হতে দেখা যায় নি বলে জানান। দুটি দোকান ক্যাশ মেমো দেখাতে না পারায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ীরা যদি জাতীয় সড়কের সমস্যা দেখিয়ে অস্বাভাবিক মূল্য ক্রেতাদের কাছ থেকে গ্রহণ করে তাহলে ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বাজারের এক ক্রেতা জানান, সকাল থেকে বাজারে আলু পিয়াজ থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্য ছিল আকাশছোঁয়া, কিন্তু প্রশাসনিক প্রতিনিধিদল বাজারে পা রাখতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রতি কিলোতে মূল্য আচমকাই পাঁচ টাকা, দশ টাকা করে কমতে শুরু হয়েছে। আর এর পেছনে মূলত কী রহস্য রয়েছে সেটা হয়তো বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা সকলেরই জানা।

কিন্তু বাজারে আসা প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, তারা নাকি নিয়মিত বাজারে এ ধরনের অভিযান চালান। কিন্তু ক্রেতাদের একটাই প্রশ্ন যখন অভিযোগ উঠতে শুরু করে তখনই তাদের অভিযান হয় বাজারে। নাহলে তারা সম্পূর্ণভাবে দায়সারা মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন সদর মহকুমা প্রশাসন। নিয়মিত বাজারে অভিযান করেন না। সুতরাং যখন অভিযোগ লাগাতার উঠতে শুরু করে এবং খবর প্রকাশিত হতে শুরু করে তখনই নিদ্রা ভাঙ্গে সেসব প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এবং গায়ে রামাবলি দিয়ছ ময়দানে নামেন। নেওয়া হয় না কোনরকম কঠোর পদক্ষেপ। সবটাই বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এ ধরনের বাস্তব চিত্র বাজারে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কে শুনে কার কথা, সবটাই নাটক ছাড়া কিছু নয়। এমনটাই দাবি অভিজ্ঞ মহলের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য