স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল : মন্ত্রীদের কথায় কথায় সুশাসন চলছে রাজ্যে। আর বাস্তবে মাফিয়া রাজ গড়ে উঠেছে। এরই প্রমাণ করে কৈলাশহর পূর্ত দপ্তরের অফিস চত্বর। কারণ বাম জানানার পর রাম জামানাতে গত সাত বছর ধরে উপর মহলের আশীর্বাদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন গনা কয়েক বাম আমলের কমরেড মাফিয়া বাহিনী। রাতারাতি লাল রামাবলি পাল্টে ২০১৮ সালেই গেরুয়া রামাবলী পড়ে শাসকদলের কাছে তারাই আজ ফেভারিট ঠিকেদার। যার কারণে কৈলাশহরে গত কয়েকদিন ধরে এক প্রকার ভাবে তাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে রয়েছে।
আবার প্রতিদিন তারাই সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে রাষ্ট্র বাদী সাধু সাজার চেষ্টা করছে। এই ঠিকাদারদের দরুন কলঙ্কিত সুশাসন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত কিছুদিন পূর্বে একটি কাজের টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন দুজন ঠিকেদার শাহজান মিয়া তারেক ও দেবাংশু দাস। তাদের অভিযোগ ছিল টেন্ডার পাওয়ার পর থেকে তারা তাদের প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে পারছে না। কারন অফিসের সামনে নিগো বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ঠিকাদাররা পাহারায় বসে ছিল যাতে তারা অফিসে প্রবেশ করতে না পারে। তাছাড়া তাদেরকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তাদের। এ নিয়ে কৈলাশহরে কয়েকদিন ধরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ ছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে বাঁধা প্রাপ্ত ঠিকাদাররা পুলিশের দারস্থ হয়েছিলেন।
অবশেষে বহু জল্পনা-কল্পনার পর পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আজ শাহাজান মিয়া তারেক ও দেবাংশু দাসের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার পূর্ত দপ্তরের নির্বাহী বাস্তকারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এবং তাদের প্রয়োজনীয় অফিশিয়াল কাজকর্ম সেরে এসেছেন। এবং নিজেদের ধোঁয়া তুলসী পাতা দাবি করেন তারা। এমনটাই মনে করছে কৈলাসহরবাসী। তবে বাজার হাটে কান পাতলে শোনা যায়, বর্তমানেও তাদেরই কাজ মিলছে যারা বাম আমলে রাজত্ব করেছে। রাম আমলে তারাই মন্ত্রী বিধায়কদের কাছে লোক। বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত বিজেপি ঠিকাদারেরা। অথচ এগুলি এড়িয়ে চলেছে দলের সাংগঠনিক বাহাদুর। উনার কাছে শুধুমাত্র হিসেব পুরোপুরি হয়ে গেলে চলে। বাকিটা এলাকার জনগণের ভোটের দ্বারা জয়ী অভিভাবক দিয়ে ম্যানেজ হচ্ছে বলে সূত্রে খবর। এই গোন্ডা বাহিনী কৈলাসহর বাসীর কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।