Saturday, May 10, 2025
বাড়িরাজ্যবনকর্মীদের ম্যানেজ করে ঠিকাদার এবার বনদস্যু হয়ে উঠলেন

বনকর্মীদের ম্যানেজ করে ঠিকাদার এবার বনদস্যু হয়ে উঠলেন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল : ঠিকাদার এবার বনদস্যু হয়ে উঠলেন। বন কর্মীদের ঘুমে রেখে করবুক মহকুমা বন আধিকারিকের কার্যালয়ের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বহু মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। জানা যায়, করবুক মহকুমা বন আধিকারিক কার্যালয়ের নাকের ডগায় বন দফতরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে দিনে দুপুরে বহু মূল্যবান বনজ সম্পদ উধাও হয়ে যাচ্ছে। বনকর্মীরা সবকিছু জেনেও না জানার অভিনয় করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

অভিযোগ, যতনবাড়ি এলাকার ঠিকেদার দীপক দাস ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন একটি জোত জায়গার কিছু গাছ কাটার জন্য বনদপ্তর থেকে পারমিট বের করেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু বনকর্মীদের উৎকোচ দিয়ে ওই অসাধু ঠিকেদার জোত জায়গার গাছ কাটার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বনদপ্তরের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছগুলিও কাটতে শুরু করে। বনদপ্তরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে প্রায় আট নয়টি বহু মূল্যবান গাছ কেটে ফেলা হলেও বনদপ্তরের কর্মীরা শীতঘুমে আচ্ছন্ন ছিল।

 যে জায়গায় ওই সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কেউ লাকড়ির জন্য গাছের ডাল কাটলে পর্যন্ত বনদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, সে জায়গায় কিসের মোহে বিরাট বিরাট গাছ কেটে ফেলা হলেও বনদপ্তর নিরব দর্শকের ভূমিকায় তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বনদপ্তর এতটাই নিষ্ক্রিয় ছিল যে বনদস্যুরা গাছ কেটে ওই গাছের লক থেকে কাঠ চেরাই করে অনায়াসে তা অন্যত্র পাচার করে দিতে সক্ষম হয়েছে। কাঠ চেরাই করা মেশিনের আওয়াজে এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বনকর্মীদের কানে এ আওয়াজ কেন পৌঁছায় না তা বুঝে উঠতে পারছে না এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ মূলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে। তবে সাংবাদিকদের আগমনের আজ পেয়ে বনদস্যুরা মুহূর্তের মধ্যে গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়। ফরেস্ট অফিসের নাকের ডগায় দিনে দুপুরে কিভাবে সবুজ বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তা জানতে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা যতনবাড়ি ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিটের আধিকারিকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু যতন বাড়ি ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিটের দায়িত্বে থাকা ফরেস্টার চিন্ময় মালাকার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সহযোগিতা করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি এক প্রকার হাতজোড় করে কাকুতি মিনতি শুরু করেন যে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করছেন বন কর্মীরা তথাকথিত ওই বনদস্যুদের কাছে এমন ভাবেই ম্যানেজ হয়েছেন যে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে সত্যি ঘটনাটা বলার সাহসটুকু পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তবে রক্ষকরা ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ায় রাজ্যের ঘন সবুজ বনাঞ্চল অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!