স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ এপ্রিল : চড়ক পূজা রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। চৈত্রের শেষ দিনে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বৈশাখের প্রথম -তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসব চলে। এটি চৈত্র মাসে পালিত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এই জগতে যারা মহাদেবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য স্বেচ্ছায় এমন কঠিন আরাধনার পথ বেছে নেন, তাঁরা মহাদেবের আশীর্বাদে মৃত্যুর পরে স্বর্গলাভের সুযোগ পান। এই চড়ক পুজোই হল গম্ভীরা এবং শিবের গাজনের রকম ফের। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
এই পুজোর আরেক অঙ্গের নাম নীলপুজো। পুজোর আগে চড়কগাছের তল এবং চড়কগাছটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নেওয়া হয়। এরপাশেই একটি পাত্রে জল ভরে তাতে শিব ঠাকুরের মূর্তির প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখা হয়। তবে অনেক সময় আবার একটি লম্বা কাঠের তক্তায় সিঁদুর মাখিয়েও রাখা হয়, যাকে বলা হয় ‘শিবের পাটা’। আর এটাই সকলের কাছে ‘বুড়োশিব’ নামে প্রচলিত। সোমবার প্রতাপগড় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে এক সাথে অনুষ্ঠিত হয় কালী, শীতলা, ব্রহ্মা ও চড়ক পূজা। সকলের মঙ্গল কামনায় এই পূজা করা হয়। সমাজের সকল স্তরের মানুষের মঙ্গল কামনায় চড়ক পুজা করা হয় বলে জানান এক সাধু। তিনি আরও জানান যারা এই চড়ক পুজা করছে তারা দীর্ঘ এক মাস ধরে নিরামিষ ভোজন করে এই চড়ক পুজা করছে। মন্ত্র সাধনার জোর ও বিজ্ঞানের সহযোগিতায় চড়ক পূজা করা হয়েছে। একই সাথে রয়েছে তন্ত্র সাধনা। চড়ক পুজাকে কেন্দ্র করে এইদিন প্রতাপগড় ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুলে মাঠে প্রচুর লোকসমাগম ঘটে।