স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ অক্টোবর : ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার প্রচারে বের হয়ে আক্রান্ত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। ঘটনাটি ঘটে আমতলি বাজারে। জানা যায় পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল কর্মসূচি শুরু করে লেইক চৌমুহনি বাজার থেকে। বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগের পর দুপুর দেড়টা নাগাদ আমতলি বাজারে জনসংযোগ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার গাড়ির উপর আক্রমণ করে।
অভিযোগের তীর শাসক দল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে আহত হয়েছে ৫ জন। এর মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ সুস্মিতা দেব, আইপ্যাকের কর্মীরা, প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মামুন মিয়া, সূর্যকান্ত সরকার সহ দুইজন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সুস্মিতা দেব জানান, এদিন শাসকদলের দুর্বৃত্তরা প্রচার গাড়ির উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের। সবটা ঘটনাই ঘটেছে পুলিশ এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের সামনে। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদের রুখতে পুলিশ এবং জওয়ানরা এগিয়ে আসেনি। এবং মোবাইল ফোনটি পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শাসক দল বিজেপি জেনে রাখা ভালো আগামী দিনে বিজেপির বিরোধী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
কারণ মাঠে সিপিআইএম নেই। তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে পারবে না বিজেপি। তবে এভাবে আক্রমণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জনক বলে জানিয়েছেন সংসদ সুস্মিতা দেব। ঘটনার পর আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এবং ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে সাংসদ সুস্মিতা দেব। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে যেহেতু সাংসদ জনসংযোগে বের হয়েছিলেন তাই নিরাপত্তার স্বার্থে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুস্মিতা দেব প্রশ্ন তুলেন রাজ্যে তাহলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নেই? রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা প্রত্যক্ষ করা গেছে এদিনও! পরে আহত সাংসদ সুস্মিতা দেবকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আই এল এস হাসপাতালে।আমতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসংযোগের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে রাজ্যসভার মহিলা সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপর এ ধরনের আক্রমণের ঘটনাকে বিপ্লব দেবের গুন্ডারাজ বললেন ট্যুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।