স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ এপ্রিল : স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ ছিল জনসাধারণের অত্যাবশ্যক পরিষেবা। কিন্তু ২০০৩ সালে বিদ্যুৎ আইনের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবাকে লাভের ক্ষেত্রে পরিণত করে বেসরকারীকরণের পথ উন্মোক্ত করে দেয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণ ও বন্টন এই তিন ভাগে ভাগ করে বেসরকারী কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল ২০২২ তৈরি করা হয়।
তারই পরিপূরক হিসাবে ডিজিটাল মিটার বাতিল করে জনস্বার্থ বিরোধী প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো শুরু করে। বিদ্যুৎক্ষেত্রে এইরূপ জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপগুলিকে প্রতিরোধ করতে রাজ্যে রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রাহক সংগঠন গড়ে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘অল ইন্ডিয়া ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন’ বিদ্যুৎ বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করা, ফিক্সড চার্জ সার্ভিস চার্জ ডিউটি চার্জ নেওয়া বন্ধ করা এবং বিদ্যুৎ আইন (সংশোধনী) বিল ২০২২ বাতিল করা ইত্যাদি দাবিতে ১ থেকে ৭ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
তারই ধারাবহিকতায় বৃহস্পতিবার ‘ত্রিপুরা ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে আগরতলার বটতলায় এক বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক সঞ্জয় চৌধুরী। তিনি বিদ্যুৎ পরিষেবাকে ব্যবসায়ী পণ্যে রূপান্তরিত করে সর্বোচ্চ মুনাফা উপার্জনের জন্য কীভাবে দেশের একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারই অঙ্গ হিসাবে ডিজিটাল মিটার বাতিল করে কোটি কোটি প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসিয়ে এবং ‘টি ও ডি সিস্টেম চালু করে বিদ্যুৎ আরও মহার্ঘ করে তুলছে এবং বেসরকারীকরণের পথ সুগম করছে। সরকারের এইরূপ জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে সকলস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির প্রতি বক্তাগণ আহ্বান জানান। বিক্ষোভ সভাটি পরিচালনা করেন চমক দেববর্মা।