স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৯ এপ্রিল : বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প নিয়ে সরব হলো আমরা বাঙালি ছাত্র যুব সমাজ। বুধবার শিক্ষা ভবনে ডেপুটেশন প্রদান করে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার উদ্দেশ্যে একাধিক দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের নেতৃত্ব। দলের সচিব বিপ্লব দাস জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে উন্নত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের নামে রাজ্যের ১২৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই বোঝেন যে, এ ধরনের প্রকল্পের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে প্রতিটি বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক থেকে শুরু করে আধুনিক শিক্ষার সমস্ত পরিকাঠামো যা এ রাজ্যে বড়ই অভাব।
অন্যদিকে আদালতের রায়ে বিগতদিনে ১০.৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির ফলে এমনিতেই প্রতিটি বিদ্যালয় শিক্ষক সমস্যায় জর্জরিত। তারপর বিগত ৫ বছরে রাজ্যে মাত্র ৪৬৫৬ জন শিক্ষক নিয়োগের ফলে সংশ্লিষ্ট সবকটি স্কুলই শিক্ষক স্বল্পতা সহ পরিকাঠামোর ঘাটতিতে ভুগছে। তাছাড়া বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পাধীন স্কুলগুলির শিক্ষার মাধ্যম যেহেতু ইংরেজী ও হিন্দী সেজন্যে বাংলা মাধ্যম থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রাগন ভাষা সমস্যার জন্যে এখন মস্তবড় বিপদে পড়েছে। স্কুল বা বোর্ড পরীক্ষাতে যার বড় প্রতিফলন ঘটেছে। পরিস্থিতির চাপে বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের অনেক ছাত্র-ছাত্রী ইতোমধ্যেই বিদ্যাজ্যোতি স্কুল ছেড়ে পাশ্ববর্তী বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে। কারো কারোর শিক্ষাবর্ষও নষ্ট হওয়া উপক্রম হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাঙালী ছাত্র সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির দাবি, বর্তমান যুগে কর্মসংস্থান বা জ্ঞান আহরণের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে ইংরেজীর প্রয়োজন থাকলেও কোনভাবেই তা মাতৃভাষার বিকল্প হতে পারে না। ত্রিপুরাতে ৭০ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, বাকীরাও এই ভাষা বোঝেন। তাই দাবি করা হচ্ছে বাংলা ভাষায় বিদ্যাজ্যোতি সহ সব স্কুলের শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম হতে পারে। একই সাথে দাবি করা হচ্ছে বিদ্যাজ্যোতি স্কুল সহ রাজ্যের শিক্ষা কাঠামোর মান উন্নয়ণ করতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন বলে জানান দলের সচিব।