স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৯ এপ্রিল : কুমারঘাট – কৈলাশহর অঞ্চলে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন করতে গিয়ে সরকার বিপাকে ফেলেছে কৃষকদের। বহির্রাজ্যের এক নির্মাণ সংস্থা কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে রাস্তা বানিয়েছে, কিন্তু বর্ষায় বৃষ্টির জলের নিষ্কাশনের করার ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেননি।
এর ফল ভুগছেন সাধারণ কৃষক। তাদের চাষের জমি এখন জলমগ্ন। চাষ পুরোপুরি বন্ধ। অথচ রাজ্য সরকার এবং এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল চুপ করে বসে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০২০ সাল থেকে এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল-এর অধীনে সতীশ প্রসাদ নামের বহির্রাজ্যের নির্মাণ সংস্থাকে দেওয়া হয় কুমারঘাট-কৈলাশহর বিকল্প ২০৮ নং জাতীয় সড়কের ১৮.৬ কিমি রাস্তায় কাজের দায়িত্ব। যার জন্য ব্যয় হবে ১২৭.৬৮ লক্ষ টাকা।
পাশাপাশি ফুলতলী রোড ও কমলপুর-শ্রীরামপুর সংযোগকারী ১২ কিমি সড়ক মিলে আরও ১৪৬.৭৩ লক্ষ টাকার কাজ। সোনাইমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রায় ২০ কানির বেশি জমিতে জল জমে থাকে সারা বছর। চাষ বন্ধ । বৃষ্টির জল বের হবার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। নির্মাণের আগে বা পরে কেউ একবারও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করেনি। এই বিষয়ে কৃষকরা বারবার জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য । অথচ এই জমি ছিল ওই অঞ্চলের কৃষকদের জীবন জীবিকা একমাত্র অবলম্বন। নির্মাণ সংস্থার উপরে দায়িত্ব ছিল পাঁচ বছরের জন্য রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রাস্তায় একটাও মেরামতি হয়নি। কৈলাশহর-কুমারঘাট মেইন রোডে বড় বড় গর্তে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে । কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তবে বলার অপেক্ষা রাখে না উন্নয়নের নামে যদি সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হয়, তবে সে উন্নয়ন নয়—সেটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ।