স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ এপ্রিল : শনিবার অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য ভিত্তিক বিপুল কান্তি সাহা শিল্প ও কারুশিল্প উৎসব। আগরতলার লিচুবাগানস্থিত সরকারি শিল্প ও কারুশিল্প কলেজে তিন দিন ব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন বর্তমান সরকারের একটা নীতি হলো যারা ত্রিপুরার জন্য কোন কিছু করেছেন, যারা বর্তমানে নেই, তাদেরকে প্রকৃত অর্থে সম্মান জানানো। যারা ত্রিপুরার জন্য কোন কিছু করে গেছেন তাদেরকে মনে রাখতে হবে এবং শ্রদ্ধা জানাতে হবে। শিল্প ও কারুশিল্প রাজন্য আমল থেকে ছিল। কিন্তু বাইরে সেই গুলিকে নিয়ে তেমন চর্চা হতো না।
বিপুল কান্তি সাহা নিজের কাজের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন। ওনার কাজের জন্য জাতীয় স্তরে ওনাকে সম্মান জানানো হয়েছিল। বিপুল কান্তি সাহাকে আরও বেশি করে জানতে হবে। ওনার সম্পর্কে জানতে পারলে অনুপ্রেরনা পাওয়া যাবে। প্রয়াত বিপুল কান্তি সাহার মতো শিল্পী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। ড্রাগের নেশায় আসক্ত হওয়া ত্রিপুরা রাজ্যের একটা বড় সমস্যা। সংস্কৃতির সাথে যুক্ত থাকতে পারলে নেশার থেকে দুরে থাকা যায় বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য এইবারের বাজেটে প্রায় ৩ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
সংস্কৃতির আদান প্রদানের জন্য কিছুদিন পূর্বে উত্তর প্রদেশ সরকারের সাথে রাজ্য সরকারের একটি মৌ সাক্ষর হয়। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ১০১ টি সংস্কৃতি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করার ব্যবস্থা করেছে। গত এক বছরে যে সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, তাতে প্রায় ১০ হাজারের অধিক শিল্পী যুক্ত হয়েছে। যাত্রা পুতুল নাচ বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই গুলি যেন হারিয়ে না যায় তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে কালচারেল হাব করার জন্য ডোনার মন্ত্রক থেকে ৩২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন, দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, সরকারি শিল্প ও কারুশিল্প কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।