স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১১ এপ্রিল : আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সুসজ্জিত তেলিয়ামুড়া মোটর স্ট্যান্ডের উদ্বোধন হয় শুক্রবার। যাত্রী ও গাড়ি চালকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই মোটরস্ট্যান্ডে নির্মিত হয়েছে উন্নত বিশ্রামাগার, টিকিট কাউন্টার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার, নিরাপত্তা ও তথ্য কেন্দ্র। শুক্রবার এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সম্মানীয় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় সহ অন্যান্যরা। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা ভার্চুয়াল উদ্বোধনের মাধ্যমে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের সূচনা করেন।
তিনি তেলিয়ামুড়া ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, মুঙ্গিয়াকামি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় ও কবি নজরুল বিদ্যামন্দির দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত পাকা বাড়ির উদ্বোধন করেন। এই নতুন পাকা স্কুল ভবনগুলোর নির্মাণ শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য মাইলফলক। কেন্দ্রীয় ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসব স্থায়ী ও সুরক্ষিত ভবনে রয়েছে সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের উপযোগী কক্ষ, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার রুম, গ্রন্থাগার ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, এতদিন পর তেলিয়ামুড়া একটি মোটর স্ট্যান্ড হলো। এই মোটরস্ট্যান্ডের হওয়ার কারণে তেলিয়ামুড়া বাসী, পরিবহন শ্রমিক এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের অনেক সুবিধা হবে। আগে কখনো কেউ এই মোটরস্ট্যান্ড করার জন্য নজরই দেয়নি।
বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু বিদ্যালয়ের বিল্ডিং নয়, বিদ্যালয়ের ভেতর চেহারা পাল্টে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। যাতে ছাত্রছাত্রীরা গুণগত মানের শিক্ষা পায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ১০৩২৩ এর ঘাটতি রয়েছে, তারপরও সেই ঘাটতি দ্রুত পূরণ করার জন্য সরকার কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন বর্তমান সরকার আসার পর রাজ্যে ১৬ থেকে ১৭ হাজার চাকরি হয়েছে। এবং যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে সেগুলি দ্রুত দেওয়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহ সব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিশায় এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি দিকেও সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিন মোটর স্ট্যান্ড উদ্বোধন হওয়ার পর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে তেলিয়ামুড়া বাসীর।