স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৬ এপ্রিল : সিপিআইএমের পলিটব্যুরোতে মানিক যুগের অবসান। প্রথম বারের মতো ত্রিপুরা রাজ্য থেকে জনজাতি প্রতিনিধি হিসেবে পলিটব্যুরোর সদস্য হলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন অনেকেই। সিপিআইএম -এর সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলেন এম এ বেবি। উল্লেখ্য, সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসূরী হলেন কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এম এ বেবি। দলের এই শীর্ষ পথ দখলের লড়াইয়ে বেবি ছাড়াও বৃন্দা কারাত মোহাম্মদ সেলিমদের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারাত লবীর উপর ভরসা না রেখে কেরল লবির ওপর ভরসা রেখেছে সিপিআইএমের পার্টি কংগ্রেস।
সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের পর থেকেই সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ছিল। এতদিন ধরে প্রকাশ করাত কাজ চালাচ্ছিলেন পলিটব্যুরোর সমন্বয়ক হিসেবে। শেষ পর্যন্ত পার্টি কংগ্রেস থেকেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নতুন সম্পাদক দেখে নিল লাল ব্রিগেড। বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রেখে দেওয়া হয়েছে পলিটব্যুরোতে। ত্রিপুরা থেকে মানিক সরকারের পরিবর্তে পলিটব্যুরোতে এলেন দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। ত্রিপুরা থেকে এই প্রথম বারের মতো উপজাতি প্রতিনিধি হিসেবে পলিটব্যুরোতে এলেন রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত দশরথ দেব পলিটব্যুরোতে যেতে পারেননি। বয়সের কারণে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ছাঁটা হয়েছে একাধিক নেতৃত্বকে। ত্রিপুরা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জিতেন্দ্র চৌধুরী ছাড়াও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন রতন ভৌমিক, মানিক দে, কৃষ্ণা রক্ষিত এবং নরেশ জমাতিয়া। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন ত্রিপুরার পাঁচজন প্রতিনিধি।