স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ মে : তিপ্রা মথার নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ভাংচুর চালানো হল অমরপুর মক্রায়বাড়ি এলাকায় নির্মিত জৈবসার কারখানার আসবাবপত্র। শ্রমিক শেড ঘর সহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সি আর পি এফ -এর জওয়ানদের জন্য নির্মিয়মান ঘরগুলি ভাঙ্গচুর করে তীপ্রামথা দলের কর্মীরা। আক্রমণ করা হয় শেড ঘর নির্মাণের কাজে নিজুক্ত দুই শ্রমিককে।
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবার অমরপুর মক্রায়বাড়ি এলাকায় নির্মিত জৈবসার কারখানার আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে ক্ষীপ্ত তীপ্রামথার কর্মীসমর্থকরা। রাজ্য সরকারের তরফে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে অমরপুর মক্রায়বাড়ি এলাকায় নির্মান করা হচ্ছে জৈবসার কারখনা। সেই মোতাবেক মাটি লেভেলের কাজ শেষ করে চলছে ঘর তৈরীর কাজ। এদিন এলাকায় শ্রমিক শেড ঘর সহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সি আর পি এফ -এর জওয়ানদের জন্য নির্মিয়মান ঘরগুলি ভাঙ্গচুর করে তিপ্রামথা দলের কর্মীরা। তাদের দাবী যে জায়গাতে এই কারখানা তৈরীর কাজ চলছে সেই জায়গাতে দীর্ঘ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে এক উপজাতি মহিলা। জোরজবরদস্তি এই উপজাতি মহিলাকে এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। মহিলার তৈরী করা বাড়িঘর জোর করে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এই কারখানার কাজ বন্ধের দাবীতে বৃহস্পতিবার বেলা 12টা নাগাদ মক্রায়বাড়ি স্কুল মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেড় করে তীপ্রামথার কর্মীরা। মিছিলটি স্কুলমাঠ থেকে শুরু করে জৈবসার কারখানা অব্দি গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষ হতেই তীপ্রা মথার কর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে এলাকায় কারখানা নির্মানের কাজে ব্যবহৃত আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে। ফেলে দেওয়া হয় আসবাব পত্র সহ সামগ্রী। এলাকায় শ্রমিক শেড ঘর নির্মানের কাজে নিযুক্র দুই শ্রমিককেও মারধর করে তীপ্রামথার কর্মীরা। তারা বর্তমানে অমরপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত দুই শ্রমিকের নাম মাধব দাস ও স্বপন লাল দাস। তাদের বক্তব্য লেবার শেড ঘড় নির্মাণ করছিলেন তারা। আচমকা এসে আক্রমণ চালানো হয়। কিছু লোক বাঁধা দিলেও আক্রমণ কারীদের একটা অংশ এই মারধোর করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল নীরব ভূমিকায়। ভাঙ্গচুরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এডিসির ডেপুটি সিএম অনিমেষ দেবর্বমা,ইএম ডলি রিয়াং ও ভবরঞ্জন রিয়াং। তাদের সমানেই চলে এই ধ্বংস লীলা। দাবী করেন এই এলাকায় যাতে এই কারখানা তৈরী না করা হয় । যদি করা হয় আগামী দিনে সব ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন তারা।