স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ মার্চ : হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। বাংলা নববর্ষের আগে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি এই দিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে।এই স্নানটি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি পূন্য স্নান উৎসব। এই পূণ্য স্নানের মধ্যমে পাপ মুক্ত হয়।
রাজধানীর প্রতাপগড় এলাকায় হাওড়া নদীতে বারুনী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মত এ বছরও অনেকে বারনীর স্নান করতে এসে মা-বাবার উদ্দেশ্যে জল দান করেন। তাদের ধারণা এদিন মা-বাবার উদ্দেশ্যে জল দিলে তাদের আত্মা জল পায়। আবার অনেকে ভাবে এদিন বারনির স্নান করলে পাপ মুক্ত হয় এবং মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এদিকে আগরতলা শহরের এবং শহরতলী মানুষ হাওড়া নদীতে এসে বারনীর স্নান করেন। ভক্তদের সমাগম এদিন ছিল বেশ লক্ষণীয়।
এদিকে কমলপুর পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডস্থিত ইয়ুথ রিক্রিয়েশন কর্নারের উদ্যোগে আয়োজিত ধলাই নদীর তীরে গঙ্গাপুজো ও নদীর ঘটলায় পুন্যস্নানে হয়। প্রায় দুই হাজারের উপর লোক পুন্য স্নান করেন। ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয় স্নান। কাতারে কাতারে মানুষ এসে স্নান করেছেন। আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা সবাই। যেখানে স্নানের আয়োজন করা হয় তার উত্তরদিকে চলে অস্থি বিসর্জন। সকাল আটটায় শুরু হয় গঙ্গাপুজো। পুজো করেন কমলপুরের প্রবীণ পুরোহিত পরিমল চক্রবর্তী।