স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ জুন : বৃহস্পতিবার আগরতলা টাউন হলে ত্রিপুরা অনিয়মিত ডিডাব্লিউএস পাম্প অপারেটর সংঘের উদ্যোগে সাংগঠনিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে সূচনা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বক্তব্য রেখতে গিয়ে কমিউনিস্টদের কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন, কমিউনিস্টদের সৎ মানসিকতা ছিল না। তারা চোর ছিলেন। মানুষের কাছে যাতে সঠিকভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছায় তার জন্য ডিজিটালাইজেশন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কিন্তু দেশে যখন জনধন একাউন্ট শুরু করছিল সরকার তখন ত্রিপুরা রাজ্যে বামফ্রন্টের সরকার গরিবদের দিয়ে মিছিল করিয়ে বলেছিল জনধন একাউন্ট করলে তাদের টাকা আদানি নিয়ে যাবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যখন ধমকি দিয়ে বলেছিলেন যদি জনধন অ্যাকাউন্ট ত্রিপুরায় না হয় তাহলে রেগা সহ সরকারি প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা মিলবে না। তারপর শেষ পর্যায়ে এই জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বাধা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল যদি সরাসরি ব্যাংকে একাউন্টে বেনিফিশারীদের অর্থ পৌঁছে গেলে ক্যাডাররা সরকারি অর্থে থাবা বসাতে পারবে না। তিনি বলেন কমিউনিস্টরা সবসময় গরিবের দোহাই দিয়ে গরিব থেকে চাঁদা তুলে নিজের পেট পালে। সম্প্রতি আগরতলা শহরে বন্যা হওয়ার পর সিপিআইএমকে একটি বিস্কুট দিতে দেখা যায়নি বন্যা কবলিতদের।
যদি কমিউনিস্টদের সরকার থাকতো তাহলে লালসালু নিয়ে উল্টো চাঁদা তুলতে বের হয়ে যেত। তাদের সময় বৃষ্টি হলে বন্যা না হলে বাড়ি থেকে এক ঘটি জল ঢেলে ছবি তুলে লালশালু নিয়ে চাঁদার জন্য মানুষের দোকানের আশপাশে ঘুরত। কেউ টাকা দিতে না পারলে বাড়ি থেকে একটা মরিচ হলেও ভেঙ্গে আনতো তারা। পরে দেখা যেত মেলার মাঠে সিপিআইএম পার্টি অফিসের আরো একতালা বেড়ে যেতে। আবার তারাই একসময় পৃথিবীর বড় বড় নেতা হয়ে গিয়েছিল। ত্রিপুরার আঠারোমুড়া থেকে চাঁদা তুলে কেউবা পাঠাতেন তারা। পরে তাদের চিড়িয়াখানার মধ্যে দেখা যেত। তিনি আরো বলেন সিপিআইএমের নেতৃত্বই ডুবলিকেট। কারণ যে কৃষি কাজের সাথে যুক্ত নয় তিনি ছিলেন তাদের খেদমজুরের নেতা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোন দিন খেতে নেমে না দেখলেও উনাকে খেতমজুরের নেতা বানানো হয়েছিল। তাই কোথা থেকে তারা শ্রমজীবী অংশের মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা পাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, কমিউনিস্টরা ভারতে বসে চীনের দালালি করে। কিন্তু চীনের এক ইঞ্চি জায়গা ক্রয় করে দেখাতে পারে না। কারণ চীনের প্রধানমন্ত্রী তাদের ঝাড়ু দিয়ে দৌড়ে দেবে বলে জানান তিনি।আয়োজিত এ দিনের কর্মসূচিতে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে অংশ নিয়েছিল অনিয়মিত পাম্প অপারেটররা।