স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ মার্চ :রাজ্যে অবৈধভাবে বালি খনন এবং বনাঞ্চল ধ্বংস নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী দলের সদস্যদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মাকে। তারপর বনমন্ত্রী বাধ্য হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার কাছে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানাতে। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়ে বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা জানান, বনদপ্তরের ফরেস্ট প্রোডাকশন ইউনিট অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিটি ডি এফ ও -র অধীন ৫০ জন করে যাতে টিএসআর দেওয়া হয়।
তাহলে বনদপ্তরের কর্মীরা এবং টিএসআর যৌথভাবে ফরেস্ট ইউনিট শক্তিশালী করতে পারবে। বনমন্ত্রী জানান, রাইফেলের আলাদা একটি সম্মান রয়েছে। গত দু মাস আগে দেখা গেছে কাঞ্চনপুরে বনকর্মীরা একটি অভিযান চালাতে গিয়ে বনদস্যদের তাড়া খেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। কারণ বনকর্মীদের কাছে যে রাইফেল আছে তা চলে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তাই এ কে ৪৭ থাকলে বনদস্যুদের সাথে সঠিকভাবে মোকাবেলা করা যাবে। এর জন্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে অর্থ দিতে হবে না। বনদপ্তর থেকে অর্থ দিয়ে এ কে ৪৭ কিনতে চান। এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন বনমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, বনদপ্তরের অধীনে আই বি ইউনিট খোলা যায় কিনা। তাহলে খবর সংগ্রহ করা যাবে। দপ্তরের কেউ যদি বেআইনি কাজে লিপ্ত থাকে তারা সতর্ক হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনাও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়গুলি অবশ্যই দেখবেন। পাশাপাশি বদলির বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।