স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ জুন : বৃহস্পতিবার কুমারঘাট গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহার হাত ধরে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রিমোট টিপে ভার্চুয়াল ভাবে ১৫ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তার মধ্যে দশটি সরকারি ইমিগ্রেশনের উদ্বোধন করেন, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পাঁচটি ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ৩৯ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। এদিন অনুষ্ঠানের আগে ৫ ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গীতাঞ্জলি অডিটোরাম প্রাঙ্গনে তমাল গাছের চারা রোপন করেন। তারপর মুল অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বামফ্রন্ট সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, আগে সকাল বিকাল মানুষকে দিয়ে শুধু মিছিল করানো হতো। বর্তমান সরকার মিছিল করায় না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় মাত্র ৩ শতাংশ দিয়ে ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এর জন্য কাউকে মিছিল করতে হয়নি এবং রাস্তায় নামতে হয়নি। বিনা দাবিতে কর্মচারীদের এই আশা পূরণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমার মনে হয় না ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ভারতের জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারকে কেউ সরাতে পারবে। কারণ এই সরকারের উপর মানুষের সমর্থন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরাতে বর্তমান সরকার শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সন্ত্রাসের সাথে কোন আপোষ করে না এই সরকার। এ সরকার উন্নয়নের জন্য সার্বিক চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নের পথে প্রদান বাধা হলো সন্ত্রাস। তাই শান্তি ফিরিয়ে আনতে দিল্লিতে আত্মসমর্পণকারীদের সাথে চুক্তি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের ইঙ্গিত করে বলেন, চালাকি করে এবং গায়ের জুড়ে রাজনীতি করার দিন চলে গেছে। এগুলি করে এখনো বর্তমান সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে। তবে সব কিছুরই সীমা রয়েছে। সীমা অতিক্রম করে গেলে এই সরকার যা করার তাই করবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মহকুমা বাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন রাজ্যের বিভিন্ন নদী ভাঙ্গন নিয়ে আধিকারিকদের সাথে আলোচনা হয়েছে। এর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হলো পেচারথল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের, সোনাইমুড়ি হেলথ সাব সেন্টার, বেত ছড়া হেলথ সাব সেন্টার, মাছ মারা তহশিল কাছারি, দেওভ্যালি হেলথ সাব সেন্টার, রাতিয়াবাড়ি আরসিসি ব্রীজ, উত্তর-পূর্ব কাঞ্চন বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, সাইন্সল্যাব এবং আর্ট ও ক্রাফ্ট রুম, ভাটি দুধপুর হাই স্কুল, বেতছড়া হাইস্কুল ভবন, কুমারঘাট মহকুমা শাসক অফিস, সেবাচন্দ্র পাড়া মাল্টিপারপাস সেন্টার, পেচারথল অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে পেঁচারতলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়, পেচারতল অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের অফিসের শুভ উদ্বোধন হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের শিল্প বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক, ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার , মহকুমা শাসক সহ গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক।