স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৫ মার্চ :রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিপিতে রোগীদের স্থান সংকুলানের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী ২০২৭ এর মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রোগীদের উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য ৯টি বিভাগে সুপার স্পেশালিটি চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে অবহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিপিতে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত হয়নি। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন অংশের জনগন চিকিৎসার জন্য মহকুমা ও জেলা হাসপাতালে আসেন। কিন্তু উন্নত আধুনিক চিকিৎসা, জটিল রোগ নির্ণয় (পরীক্ষা নিরীক্ষা) এবং জটিল যন্ত্র পরিষেবা মহকুমা ও জেলা হাসপাতালগুলিতে সুবিধাগুলি উপলব্ধ না হওয়ায় রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তৎক্ষণাৎ রোগীকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রেফার করা রোগীদের দক্ষতার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী দ্বারা উন্নত মানসম্পন্ন উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবি হাসপাতালে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রেফার করা রোগীদের দক্ষতার সাথে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং জিবিপি হাসপাতালে সুসজ্জিত পরিকাঠামো, পর্যাপ্ত চিকিৎসা কর্মী এবং রোগীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা রয়েছে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি গুণমানসম্পন্ন ও কোনো আপস ছাড়াই উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা পায়। রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবির কিছু কিছু বিভাগে রোগীদের জায়গার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্য নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ঐ বিভাগগুলি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত করা হবে। ২০২৭ সালে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিপি’র ৯টি বিভাগে সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিষেবা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে – ১) কার্ডিওলজি, ২) সি.টি.ভি.এস ও আইআর, ৩) নিউরোলজি, ৪) নিউরোসার্জারি, ৫) ইউরোলজি, ৬) নেফ্রোলজি, ৭) প্লাস্টিক সার্জারি, ৮) গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং ৯) গ্যাস্ট্রো সার্জারি।
এর পাশাপাশি ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ এর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ২টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সি.টি.ভি.এস. এবং আইআর বিভাগে ৬০ (ষাট) টি ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। তাছাড়া মোট ২২ (বাইশ) টি সি.এ.বি.জি. (Coronary Artery Bypass Graft) পদ্ধতি সম্পাদিত হয়েছে। এই তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরো জানান, বর্তমানে ১৫ (পনের) জন সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসক জিবিপি হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে কাজ করছেন। যার মধ্যে ১১ (এগার) জন সুপার স্পেশালিষ্ট স্থায়ী কর্মচারী এবং বাকি ৪ (চার) জন চুক্তিভিক্তিক সুপার স্পেশালিষ্ট চিকিৎসক রয়েছেন।