স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ অক্টোবর : প্রতিবাদে গজে উঠল ত্রিপুরা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে শহরে প্রতিবাদী র্যালী সংগঠিত হয়। জাতপাত ভুলে মানুষ শান্তি সম্প্রীতি বার্তা দেয় এদিন মিছিল থেকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আহ্বানে এদিনের র্যালী শুরু হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গীতা ভবনের সামনে থেকে।
মিছিলটি রাজধানীর বটতলা, কামান চৌমুহনী, আস্তাবল সহ বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার অফিসে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। বিভিন্ন আশ্রমের সন্ন্যাসী সহ সমস্ত অংশের মানুষ উপস্থিত ছিল এ মিছিলে। এদের মিছিল থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দুর্গা পুজার সময় থেকে পূজা মণ্ডপ, মূর্তি ও মন্দির ভাংচুর এবং হিন্দুদের সম্পত্তি লুণ্ঠন ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতীবাদ র্যালী সংগঠিত করা হয়। এদিন শঙ্কর চৌমুহনী স্থিত গীতা ভবনের সামনে থেকে এই প্রতীবাদ র্যালি শুরু হয়। র্যালিতে অংশ নেন বিধায়ক ডাক্তার দীলিপ দাস সহ আগরতলার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলির মহারাজ সহ সাধারন মানুষ। বিধায়ক ডাক্তার দিলিপ দাস জানান অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ১৯৪৬ সাল থেকে শুরু করে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার সংগঠিত হচ্ছে।
এই আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আফগানিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্থান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ২৮ শতাংশ। এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশে। তালিবানের উত্থানের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে হিন্দুদের উপর আক্রমণ বেশী হচ্ছে। এই আক্রমণের পর দেশ ও বিশ্ব ব্যাপী তালিবানী উদ্র মনোভাবের বিরুদ্ধে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বি মানুষ প্রতীবাদে সোচ্চার হয়েছে। পৃথীবির মানুষ বুঝতে পারছে তালিবানী মনোভাব আগামী দিনে বিপদ ডেকে আনবে। সেই হিসাবে রাজ্যব্যাপী জে প্রতীবাদ সংগঠিত হচ্ছে তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বলে জানান বিধায়ক ডাক্তার দিলিপ দাস। এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর কর জানান, বাংলাদেশের এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দা জনক। তাই বাংলাদেশে সহকারী হাই কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। যাতে বাংলাদেশের সরকারী হাইকমিশনার মারফত বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশের দু’কোটি হিন্দুদের নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করবেন। এবং বাংলাদেশে সহকারী হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে অবিলম্বে যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, নাহলে আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। যা হয়তো হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর কর।