স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৭ মার্চ : আসামের দুই যুবককে অপহরণ করে রাজ্যে নিয়ে এসে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার সোনামুড়া মহকুমার কালাবাড়ি গ্রামের প্রধান নাসিমা বেগমের দেবর মানিক মিয়া ও রিপন মিয়া। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এই অপহরণ কাণ্ডের মূল নায়ক সোনামুড়ার কালাবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান নাসিমা বেগমের স্বামী আবুল কালাম বলে জানা যায়।
অপহুত দুই যুবকের বড় ভাই জানান ৮ ফেব্রুয়ারি আসামের পাথারকান্দি এলাকার আসিম গঞ্জের সোনাতুলা ও বাহাদুরপুর গ্রামের ফয়েজ আহমেদ ও আলাল উদ্দিনকে কাজের প্রলোভন দিয়ে সোনামুড়ার কালাবাড়ি গ্রামের প্রধান নাসিমা বেগমের স্বামী আবুল কালাম রাজ্যে নিয়ে আসে। তাদেরকে রাজ্যে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে ১ কোটি টাকা মুক্তি পণ দাবি করে প্রথমে। পরে ধাপে ধাপে আলোচনাক্রমে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে। অপহুত দুই যুবকের পরিবারের লোকজন জমি বিক্রয় করে ৫ লক্ষ টাকা অনলাইন অভিযুক্তদের একাউন্টে প্রেরন করে। তারপরও অভিযুক্তরা অপহুত দুই যুবকের পরিবারের কাছে আরও ৫ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে।
অবশেষে অপহুত দুই যুবকের বড় ভাই রাজ্যে এসে সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য জাল বিছায়। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের পরিকল্পনা মোতাবেক অপহুত দুই যুবকের দাদা অভিযুক্তদের ফোন করে জানায় তিনি টাকা নিয়ে চড়িলাম বাজারে এসেছেন। এই খবর পাওয়ার পর সোনামুড়া মহকুমার কালাবাড়ি গ্রামের প্রধান নাসিমা বেগমের দেবর মানিক মিয়া ও রিপন মিয়া একটি বিলাস বহুল গাড়ি নিয়ে মুক্তি পনের টাকার জন্য হাজির হয় চড়িলাম বাজারে। তখনই পুলিশ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে বলে জানান অপহুত দুই যুবকের দাদা। বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পর থানায় নিয়ে যায়। তবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অপহুত দুই যুবককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। জানা যায় অপহুত ফয়েজ আহমেদ ও আলাল উদ্দিন পেশায় গাড়ি চালক। এইদিকে অপহুতদের না পেয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানা চত্বরে কান্নায় ভেঙ্গে পরে তাদের পরিবারের লোকজন। এখন দেখার পুলিশ অপহুত দুই যুবককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কিনা।