স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৭ মার্চ : সোনামুড়া হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুস্তাফা কামাল। মুস্তাফা কামালের একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে চেন্নাইতে থাকে। বাড়িতে স্ত্রী, পুত্র বধূ ও একমাত্র নাতিনকে নিয়ে থাকতেন মুস্তাফা কামাল। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির একটি ঘরে মুস্তাফা কামালের স্ত্রী, পুত্রবধূ ও নাতনি ঘুমিয়েছিল। বাড়ির অপর ঘরে ঘুমিয়েছিলেন মুস্তাফা কামাল। মুস্তাফা কামালের স্ত্রী জানান গভীর রাতে তিনি স্বামীর চিৎকার শুনতে পান।
ঘর থেকে বেরিয়ে দেখতে পান স্বামী যে ঘরে ঘুমিয়েছিল সেই ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরের অভ্যন্তরে স্বামী বাচার জন্য আর্তনাদ করছে। স্বামীকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। ঘরের দরজাও ভাঙ্গেন। কিন্তু আগুনের জন্য ঘরে কেউ যেতে পারেন নি। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীর কর্মীদের। দমকল বাহিনীর কর্মীরা ছুটে গিয়ে আগুন নিভায়। আগুন নিভানোর পর দেখতে পান ঘরে স্বামীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পরে রয়েছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে কি ভাবে মুস্তাফা কামালের ঘরে আগুন লেগেছে তা কাউই বলতে পারছে না। এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে সন্দেহ সকলের। কারন এলাকারই বখাটে যুবক হিসাবে পরিচিত সুমন মিয়া নামে এক যুবকের কু নজর পরে মুস্তাফা কামালের পুত্র বধূর উপর। ৩ মার্চ এই নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের পিছনে সুমন মিয়ার হাত থাকতে পারে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।