স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৬ মার্চ : সম্প্রতি দিল্লি সফরকালে রাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ,রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওত- এর সাথে দেখা করেন রাজ্যের খাদ্য ,পরিবহন এবং পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। উনার সাথে ছিলেন সংশ্লিষ্ট তিন দপ্তরের সচিব এবং অধিকর্তাগণ ।
রাজ্যে ফিরে বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানান মন্ত্রি নিজেই। মন্ত্রী জানান ,গত চার মার্চ দিল্লিতে তিনি কেন্দ্রীয় খাদ্য ,গন বন্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশির সাথে দেখা করেন ।তার সাথে ছিলেন দপ্তরের আধিকারিকগণ। বৈঠকে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বিভিন্ন কারণে আটকে থাকা ৫৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা অবিলম্বে প্রদানের দাবি জানান তিনি । কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী এই দাবির যুক্তিকতা স্বীকার করে অবিলম্বে এই টাকা প্রদান করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আরও জানান, দিল্লি সফরকালে তিনি আধিকারিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথেও দেখা করেন। দেখা করে অবিলম্বে আগরতলা থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার দাবী জানান । বৈঠকে রেলমন্ত্রী জানান ,রাজ্যের তিন ভাগের দুই ভাগ অঞ্চলে বন থাকায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা নিয়ে বিশেষভাবে দপ্তর চিন্তাভাবনা করছে। একইসাথে অবিলম্বে রাজ্যে ডাবল লাইন ট্র্যাক চালুর দাবিও জানিয়েছেন তিনি ।
পাশাপাশি সেকেরকোর্টের তেলের ডিপো তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিও জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । মন্ত্রী জানান, ধর্মনগরের পর সেকেরকোটে তেলের একটি ডিপো তৈরি করা হচ্ছে। তিন থেকে চার মাসের জন্য তেলের বাফার স্টক তৈরি রাখতে এই ডিপো করা হচ্ছে বলে জানান খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী সাথে দেখা করে আগরতলা গোহাটি ইন্টার সার্ভিস ট্রেন আগরতলা জম্মু এক্সপ্রেস ট্রেন এবং আগরতলা গয়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি পাশাপাশি সাব্রুম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেন বিলোনিয়া তেলিয়ামুড়া এবং মনু রেল স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার্থে দাঁড় করানো হয় সেই দাবিও তিনি জানিয়েছেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী বলেন সমস্ত দাবী দাওয়া নিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, ফলে খুব সহসাই এরাজ্যের মানুষ এই সুবিধাগুলি পেতে চলছেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।