Monday, March 17, 2025
বাড়িরাজ্যআত্মসমর্পণকারী জঙ্গি গোষ্ঠীর জাতীয় সড়ক অবরোধের বিষয় নিয়ে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপালেন...

আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি গোষ্ঠীর জাতীয় সড়ক অবরোধের বিষয় নিয়ে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপালেন আমরা বাঙালি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক,  আগরতলা। ২৬ ফেব্রুয়ারি : বাম ও কংগ্রেসের মতো এক অংশের মানুষের তোষণনীতি চালিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি। এই প্রশ্রয় পেয়েই উগ্রবাদীদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে রাজ্যে। কয়েকদিন পর পর কিছু বায়না ধরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে  ত্রিপুরা লাইফ লাইন অবরোধে বসে। বুধবার আমরা বাঙালি রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এমনটাই দাবি করলেন আমরা বাঙালির রাজ্য সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল। তিনি বলেন, ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বড়মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে মানুষকে প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

একটানা ৭ ঘন্টা অবরোধ শেষে প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি প্রদানের পর বৈরীগণ রাস্তা অবরোধমুক্ত করলেও তাদের দাবী পূরণ না হলে ভবিষ্যতে তারা নাকি আরও বড় আন্দোলন করবে বলে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। কিন্তু ২০১৭ সালের আইপিএফটি -র একটানা ১১ দিন জাতীয় সড়ক অবরোধের দুর্ভোগ রাজ্যবাসী এখনো ভুলতে পারেনি। রাজ্যবাসীর মনে আছে অতীতের বাঙালী বিদ্বেষী সেংক্রাক পার্টির কথা এবং ১৯৮০ জুনের বিভৎস্য গণহত্যার ধ্বংসলীলা, এটিটিএফ, এনএলএফটি-র মতো বৈরী সংগঠনের মাধ্যমে অপহরণ, হাজার হাজার মানুষ খুন, ধর্ষণ, গৃহদাহ, লুণ্ঠন সহ এডিসি -র প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসহায় লক্ষ লক্ষ বাঙালিদের বিতাড়নের দৃশ্য। আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে বার বার দাবি জানানো সত্ত্বেও কাদের ষড়যন্ত্রে বা কাদের পাপের ফলে এ রাজ্যে আশির জুনের গণহত্যা সংঘটিত হলো তা উদঘাটনের জন্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়নি। বরং তৎকালীন সিপিআইএম দলের মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর মন্তব্য ছিল, ‘আমি উপজাতি ঘরে জন্মালে আমিও উগ্রপন্থী হতাম’।

 কাজেই এই উক্তি থেকে পরিস্কার ত্রিপুরা রাজ্যে টিএনভি সহ যত উগ্রবাদী দলের সৃষ্টি হয়েছে তাদের পেছনে কাদের হাত রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। বাঙালী শূন্য কমিউনিষ্ট মুক্তাঞ্চল গড়ার লক্ষ্যে তৎকালীন কমিউনিষ্ট সরকার বার বার আত্মসমর্পন নাটকের মাধ্যমে উগ্রবাদীদের কোটি কোটি টাকা, বিভিন্ন সরকারী পদ পাইয়ে দিয়ে শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করেছিল। পরবর্তীকালে ৮৮ সালে কংগ্রেস-টিইউজেএস জোট আমলেও টিএনভি চুক্তির মাধ্যমে ৮০ জুনের গণহত্যার নায়ক বিজয় রাংখলকে সরকারী সুযোগ-সুবিধা সহ বীরোচিত সম্মান দেওয়া হয়। যা পরবর্তীকালে উগ্রবাদীদের বাঙালী বিদ্বেষী কাজকর্মে আরো উৎসাহিত করেছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো উগ্রপন্থী সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারও ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করতে গিয়ে বাম ও কংগ্রেসের মতো উপজাতি তোষণনীতি চালিয়ে যেতে চাইছে। এই প্রশ্রয় পেয়েই উগ্রবাদীদের বাড়বাড়ন্ত। কয়েকদিন পর পর কিছু বায়না ধরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে ত্রিপুরা লাইফ লাইন অবরোধে বসে। দাবি আদায়ের যে বহু গণতান্ত্রিক রাস্তা আছে তা তারা ভুলে গেছে বলে কটাক্ষ করলেন আমার বাঙালি রাজ্য সম্পাদক। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য