স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি : ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীন তুইমধু উচ্চ বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সহ অভিভাবকরা। অভিযোগ এই তুইমধু উচ্চ বিদ্যালয়ে এমনিতেই শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। মাত্র কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয়টি চলছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নির্মম পরিহাস বিদ্যালয়ে যে কয়জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন তার মধ্য থেকে আবার দুইজন ঠিকঠাক বিদ্যালয়ে আসেন না। কখনো কখনো বিদ্যালয়ে এসে মদের আসর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই দুই গুণধর শিক্ষক হলেন বিদ্যালয়ের ইনচার্জ প্রবীণ গোপ এবং কৃষ্ণ গোপাল রায়। তাদের কারনে লাটে উঠেছে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন।
এক প্রকার বাধ্য হয়ে এইদিন বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সহ অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে যান মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শক। তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সাথে কথা বলেন। তাদেরকে আশ্বাস প্রদান করেন ১৫ দিনের মধ্যে গুনধর দুই শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে বিদ্যালয়ে নতুন করে দুইজন শিক্ষক প্রদান করার জন্য তিনি জেলা শিখা আধিকারিকের নিকট আবেদন জানাবেন। এদিকে বিদ্যালয়ে চলাকালীন সময়ে আরো এক গুণধর শিক্ষককে দেখা গেল দোকানে বসে আড্ডা দিতে। গুণধর এই শিক্ষকের বাড়ি নাকি আগরতলার যোগেন্দ্রনগরে। তুমি প্রায় সময় বিদ্যালয়ে এগারোটার পর উপস্থিত হন। গাড়ি চড়ে বিদ্যালয়ে আসার কারণে তিনি নাকি সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেন না।
নির্দিষ্ট সময়ের পর বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে তাকে সই করতে দেওয়া হয় না। আর এই কারণে তিনি আড্ডা দেন দোকানে বসে।এদিকে মঙ্গিয়া-কামি বিদ্যালয় পরিদর্শক অশেষ দেববর্মা জানিয়েছেন, অভিভাবকদের অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়ে ইনচার্জ প্রবীণ গোপ প্রায় সময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বিদ্যালয় আসেন। যার কারণে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের অধ্যয়ন করাতে পারেন না। তিনি দু তিন দিন আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন এই বিদ্যালয় ইনচার্জকে। কিন্তু সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষকদের তালাবন্দী করে রাখার খবর শুনতে পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ে ছুটে আছেন। তিনি জেলা শিক্ষা আধিকারিক এর সঙ্গে কথা বলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন অভিভাবকদের।বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পর অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের তালা খুলে দেন। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে সর্বত্র