স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি : সোমবার প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯ তম কিস্তি প্রদান করা হয়। বিহারের ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বোতাম টিপে দেশের কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের অর্থ ব্যাংক একাউন্টে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছেন। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে আগরতলা অরুন্ধতী নগর স্থিত কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন রাজ্যসভার সংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়িকা সরকার, কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় সহ কৃষি দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক।
অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, ২ লক্ষ ৮৭ হাজার কৃষক কৃষান সম্মান নিধি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। আজকে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকার অধিক রাজ্যের কৃষকদের একাউন্টে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ধরনের কর্মসূচি পৃথিবীর ইতিহাসে আগে কখনো হয়েছে বলে জানা নেই বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১১ কোটির অধিক কৃষক সুবিধা পেয়েছেন। এর জন্য সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার অধিক সরকারের ব্যয় হয়েছে। যার ফলে গরিব অংশের মানুষের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকরাও ৭৮০ কোটি টাকার অধিক পেয়েছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে কৃষকদের জন্য এটা বড় প্রাপ্তি বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
কারণ ভারতবর্ষের অর্থনীতি কৃষি-নির্ভর। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের অন্নদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিগত দিনে ত্রিপুরাকে বাদ দিয়ে দেশের প্রকল্প হয়েছে, বর্তমানে কোন প্রকল্প ত্রিপুরাকে বাদ দিয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কার্যকর করে না। উত্তর পূর্বাঞ্চলকে প্রধানমন্ত্রী অষ্ট লক্ষী নাম দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন না করে ভারতবর্ষের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যার কারণে বিগত বাজেট থেকে নয়া বাজেটে ৪৭ শতাংশ টাকা বেশি রাখা হয়েছে। যাতে সার্বিক উন্নয়ন করা যায়। এদিন বিরোধীদের এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, বিরোধীরা তথ্য প্রমাণ দেওয়ার জন্য কিভাবে রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত। বর্তমানে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্য সরকার কার্যকর করছে। আগে এই প্রকল্প গুলি ছিল না। তারপরও কৃষকদের স্বার্থে কোন অর্থ আসলে সেটা মিডলম্যান অর্থাৎ নেতারা খেয়ে নিতো। বর্তমানে এই সমস্যা নেই। সুতরাং, তাদের সময় কৃষকরা বঞ্চিত ছিল। যার কারণে এখন কৃষকরা খুশি এবং উপকৃত হচ্ছে বলে দাবি করলেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, ১৯ তম কিস্তিতে দেশের ৯ লক্ষ ৭০ হাজারের অধিক কৃষককে ২২ হাজার কোটি টাকা অধিক প্রদান করা হয়। ১৯ তম কিস্তিতে ত্রিপুরা রাজ্য পেয়েছে ৫০ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।