Friday, March 21, 2025
বাড়িরাজ্যঅত্যাধুনিক বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হানা দিল ৭-৮ জন, আতঙ্ক উত্তর...

অত্যাধুনিক বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হানা দিল ৭-৮ জন, আতঙ্ক উত্তর জেলায়

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৩ ফেব্রুয়ারি : সেনাবাহিনীর পোশাক পরিধান করে এক বাড়িতে বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হানা দিল ৭-৮ জন। ঘটনা শনিবার রাতে চোরাইবাড়ি গোবিন্দপুর এলাকার সাধন দেবের বাড়িতে। ঘটনার পর বাড়ির লোকজনরা খবর দেয় চুরাইবাড়ি থানার পুলিশকে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাধন দেবের পরিবারের লোকজনেরা জানান, রাতের বেলা ঘরের দরজা ভেঙে ৭ থেকে ৮ জন টিএসআরের পোশাক পড়া দুষ্কৃতী প্রবেশ করে তাদের মাথায় অত্যাধুনিক এল এম জি বন্দুক ঠেকিয়ে বলে সাধন দেবের পরিবার নাকি ড্রাগস বিক্রির সাথে জড়িত। ঘর থেকে মোবাইল ফোন, চার্জার, নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার সমস্ত কিছু তাদের হাতে তুলে দেওয়া জন্য। দুষ্কৃতিকারীদের কথা অনুযায়ী সমস্ত টাকা-পয়সা এবং স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র তুলে দেয়। তারপর এই দুষ্কৃতিকারীরা সাধারণ দেবের পরিবারের পুরুষ মহিলা সকলকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের হাতে ছিল এলএমজি বন্দুক, শাবল ও কিরিচ।

 পরবর্তী সময় প্রান রক্ষার জন্য তারা কাতর আবেদন করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান বাড়ির গৃহকর্তা। অপরদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে সাধন দেবের বাড়িতে ছুটে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ আধিকারিকরা সাধন দেবের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী তদন্তে নেমেছে। এ বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানান ঘটনার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে তারা কোন কিছুই বলতে পারছে না। ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে সাধন দেবের বাড়িতে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক যাদব লাল নাথ। তিনিও আতঙ্কগ্রস্থ পরিবারের সাথে কথা বলেন। সমস্ত ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন সাধন দেবের পরিবারকে।

তবে প্রশ্ন হলো, রাজ্যে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার দিয়ে যখন অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উগ্রপন্থীর আনাগোনা চলছে বলে সূত্রের খবর, সেই মুহূর্তে রাজ্যে আবার কিসের হানা? জটিলতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের উগ্রপন্থীর সমস্যা নিয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে পুলিশ প্রশাসন। অথচ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ত্রিপুরা এখন সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ মুক্ত রাজ্য। সমস্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী সাধারণ জীবন যাপনে ফিরে এসেছে। এবং তাদের কাছে যা অস্ত্রশস্ত্র ছিল সমস্ত কিছুই আত্মসমর্পণ করে ফেলেছে। তারপরও যদি কোন নতুন গোষ্ঠীর জন্ম হয়ে থাকে তাহলে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। কিন্তু রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের আশ্বাসের ২৪ ঘন্টা পর চুরাইবাড়িতে এ ধরনের ঘটনা হাসির খোরাক করেছে রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশকে। কোথায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, প্রশ্ন আমজনতার? কারণ সাধন দেবের বাড়িতে হানা দেওয়া ৭-৮ জন ডাকাত কিংবা উগ্রপন্থী যাইহোক না কেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে কেনই বা খবর নেই? যেখানে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক বুক চিটিয়ে দাবি করছে ত্রিপুরা সন্ত্রাসমুক্ত হয়ে গেছে সেখানে এটা কিসের প্রমাণ? এর দ্বারা স্পষ্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিপি কাউকে খুশি করার জন্য পঞ্চমুখ হলেও বাস্তব অন্য কথা বলছে। চুরাইবাড়িতে এই ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর এলাকাবাসী আতঙ্কে ভুগছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য