স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২২ ফেব্রুয়ারি : ভোট আসলে মন্ত্রী বিধায়ক বাড়ি বাড়ি এলাকার সব উন্নয়নই হবে। অথচ ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক, গ্রাম প্রধান, উপপ্রধান থেকে শুরু করে সকলেই ভুলে যায় জনগণের জন্য তাঁদের কি দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ উঠল কদমতলা আর ডি ব্লকের অন্তর্গত পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ভৈরবপাড়া এলাকার মানুষের। দীর্ঘ বহু বছর ধরে তাদের পানীয় জল এবং রাস্তা সংস্কারের সমস্যার সমাধান হয় না।
এ বিষয়ে বহুবার এলাকার বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান উপপ্রধান থেকে শুরু করে সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের অবগত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শনিবার সকাল থেকে ভৈরবপাড়া এলাকায় পথ অবরোধ করে পুরুষ মহিলারা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘ বছর ধরে তাদের রাস্তা এবং পানীয় জলের সমস্যা। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচনের পর তিন মাসের মধ্যেই তাদের রাস্তা এবং পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করা হবে। অথচ এই সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি। বছরের পর বছর চলে গেলেও তাদের সমস্যা সমাধান না হওয়ায় এলাকা দিয়ে একটি রোগী পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে না রাস্তার কারণে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পানীয় জলের সমস্যার জটিলতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বহু বাড়িতে পানীয় জল এখনো পৌঁছায়নি। পঞ্চায়েত থেকে নিয়মিত পানীয় জলের বন্দোবস্ত করার কথা থাকলেও তারা নিয়মিত গাড়ি দিয়ে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করে না।
যার কারণে তাদের চরম জল সংকটেও ভুগতে হচ্ছে। তাই অবশেষে তারা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোন প্রশাসনিক আধিকারিক না পৌঁছালেও স্থানীয় পঞ্চায়েতের কিছু জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। এবং দ্রুত অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে বাধ্য করে জনপ্রতিনিধিরা। এলাকার এক জনপ্রতিনিধি জানান, পঞ্চায়েত থেকে এলাকার সমস্ত বাড়িতে নল দিয়ে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু ভৈরবপাড়া কিছুটা উচু এলাকা হওয়ার কারণে কয়েকটি বাড়িতে পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে। তাদের গাড়ি দিয়ে পানীয় জল দেওয়া হয়। সুতরাং এটা কোন সমস্যা নয় বলেই মনে হচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। এদিকে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামের পুরুষ মহিলারা। এদিন অবরোধের ফলে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। উল্লেখ্য, সুশাসন জামানায় রাষ্ট্রবাদী দলের নেতা মন্ত্রীদের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি হলো বর্তমান সরকারের কাছে কিছুই চাইতে হয় না। সমস্যার সমাধানের জন্য আন্দোলন করে জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ বলতে হয় না। সরকার নিজে থেকেই মানুষের সমস্যা সমাধান করতে বদ্ধপরিকর। অথচ বিকাশ ত্রিপুরায় মন্ত্রী বাহাদুরদের কথার সাথে কাজের অমিল। এই ভাষণ এখন জনগণের কাছে কমেডির মতো হয়ে উঠেছে।