Saturday, March 22, 2025
বাড়িরাজ্যচরম অব্যবস্থার কারণে ভুগছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, নজর এড়িয়ে চলেছে নগর পঞ্চায়েত

চরম অব্যবস্থার কারণে ভুগছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, নজর এড়িয়ে চলেছে নগর পঞ্চায়েত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২০ ফেব্রুয়ারি : বাম ও রাম জামানায় ১৮ বছর অতিক্রান্ত সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিয়ার টাউন হল অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের। কিন্তু এখন পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে পৌঁছালো না বিদ্যুৎ। চরম অব্যবস্থায় পরিণত হয়ে আছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি। এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে ৪০ জন কচিকাঁচা রয়েছে। প্রতিদিন তারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এসে জীবন ঝুঁকির শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী কাজল রানী দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ২০০৮ সাল থেকে চালু রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি। এখন পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। ভপসা গরমের মধ্যে কচিকাঁচারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে আসতে চায় না। অতিরিক্ত গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে, অপরদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে কোন রান্নাঘর নেই। ক্লাসরুমে মধ্যে মাটির চুল্লি দিয়ে হয় রান্নাবান্না। কচিকাঁচারা রান্নার ধোঁয়া এবং অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অপরদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বাইরে গভীর ড্রেইন এবং পুকুর রয়েছে। কোনরকম বেড়া কিংবা দেওয়ালের ব্যবস্থা করা হয়নি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সীমানায়। ফলে কচিকাঁচারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে বের হলেই জীবন ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়।

প্রতিমাসে স্থানীয় নগর পঞ্চায়েত এবং কমিশনারের কাছে এই অব্যবস্থাপনার রিপোর্ট দিয়ে চলেছেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীরা। অথচ কোন সহানুভূতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না নগর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি এবং কমিশনারের। এর মধ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে থাবা বসিয়েছে চোরের দল। রান্নার সিলিন্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায় চোরের দল। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া সরঞ্জাম উদ্ধার হয়নি বলে জানান অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী। সুতরাং বলা যায় নামমাত্র অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। সরকারি কোষাগার খালি করে প্রতি মাসে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের জন্য অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অথচ কোন কাজে আসছে না স্থানীয়দের। যা থাকা না থাকাই সমান। যার কারনে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে এখন কচিকাঁচাদের পাঠাতে পর্যন্ত চিন্তা করছে অভিভাবক মহল। বিকাশ ত্রিপুরায় এ ধরনের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার আরো বহু রয়েছে। নজর এড়িয়ে চলছে টিপল ইঞ্জিন!

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য