স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২০ ফেব্রুয়ারি : সন্তান প্রসব হওয়ার তিন মাসের মধ্যে মায়ের মৃত্যু। ঘটনা খোয়াই তবলা বাড়ি এলাকায়। মৃত মহিলার নাম অনিমা তাঁতি। বয়স ১৬। স্বামী বিশ্বজিৎ তাঁতির অভিযোগ, সন্তান প্রসবের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অঘ্যমূল্য দেববর্মার গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর। ঘটনায় বিবরণে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর খোয়াই জেলা হাসপাতালে অনিমা তাঁতি সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। তারপর দুদিন পর হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্ঘ্যমূল্য দেববর্মা জিবি হাসপাতালে রেফার করেন অনিমা তাঁতিকে। তারপর জিবি হাসপাতালে এনে ছয় থেকে সাত বার ডায়ালিসিস করার পর ১৫ থেকে ১৬ দিন পর প্রস্রাব হয় অনিমা তাঁতির। এদিকে জি বি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অনিমা তাঁতির পরিবারকে জানিয়ে দেন কিডনি পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এর মধ্যে বুধবার অনিমা তাঁতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিয়ে আসা হয় যদি হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনিমা তাঁতি। স্বামী বিশ্বজিৎ তাঁতির অভিযোগ, চিকিৎসক অর্ঘ্যমূল্য দেববর্মার ভুল চিকিৎসার কারণে সন্তান জন্মের সময় কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। জন্মের আগে যখন চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে দেখা করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। তারপর প্রসবের সময় এই সমস্যা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে দায়ী চিকিৎসক। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় গত দেড় মাস আগে মামলাও দায়ের করেছেন। অথচ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত চিকিৎসক পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে খোয়াই জেলা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালে মর্গে মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর তুলে দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনদের হাতে। স্ত্রীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিশ্বজিৎ। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করলেন তিনি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আরো জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসকের কারণে খোয়াই জেলা হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা চার থেকে পাঁচটি হয়েছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।