স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৫ ফেব্রুয়ারি : দেশের নিরাপত্তা কার হাতে? প্রশ্নের মুখে বিএসএফ জওয়ানরা! কারণ বাংলাদেশে আই এস আই টিমের অবস্থান নিয়ে ত্রিপুরাকে হাই এলার্ট করেছে ভারত সরকার। সেই জায়গায় মাত্র ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশীদের পাচার করে দিচ্ছে খোদ বিএসএফের পাঁচজন জওয়ান। বিষয়টি টের পেয়ে সাধারণ মানুষ হাতেনাতে আটক করল বিএসএফ সহ বাংলাদেশিদের। তেলিয়ামুড়ার রেলস্টেশন সংলগ্ন ইচারবিল এলাকায়।
জানা গেছে শিশু এবং নাবালিকা কন্যা সহ মোট ছয় জন বাংলাদেশী নাগরিককে অবৈধ উপায়ে কোন একটা জায়গাতে পাঠানোর জন্য রেলস্টেশন ব্যাবহার করার জন্য নাকি বি.এস.এফের ৪ জওয়ান বাঁকা পথে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময় এই অটো গাড়িটি দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু এলাকাবাসীরা কোনভাবে একজন বি.এস.এফ জওয়ানকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক এই বি.এস.এফ জওয়ানের সূত্র ধরে সেই অটো গাড়িটি আটক করে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই আটক হওয়া বি.এস.এফ জওয়ান বারবার দাবি করছিলেন যারা অটো নিয়ে চলে গেছে তারা ভারতীয় এবং তাদের কাছে নাকি কাগজপত্র রয়েছে। একটা সময় সাধারণ মানুষ যখন বিরাট সংখ্যায় জড়ো হয়, তখন ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়ার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটার ঘটনা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে যারা পালিয়ে গিয়েছিল তারা সকলে বাংলাদেশী নাগরিক। সংশ্লিষ্ট বি.এস.এফ’রা তাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে বা ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে সাহায্য করছিল। এখানেই যথেষ্ট প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে।
বি.এস.এফ যাদের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব, তাদের মধ্যে একাংশ যদি এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িয়ে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাহলে আগামী দিন দেশের ভবিষ্যৎ কি? এদিকে পরবর্তী সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশী নাগরিক রেজাউল শেখ, সুখী বেগম, নাসির বেগম, সার্বিয়া বেগম, লাবনী আক্তার সহ একটি শিশুকে আটক করেছে। উল্লেখ্য, ইউনুস সরকারের জামানায় বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের দখলে। ইউনুস সম্পর্ক গভীর করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সম্প্রতি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই -র দশজনের একটি টিম বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে গেছে চট্টগ্রামে। সেখানে বসে তৈরি করছে ভারত বিরোধী ব্লু প্রিন্ট। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা করা রিপোর্টে বলা হয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ভারতে নানা নাশকতামূলক কার্যকলাপ শুরু করতে পারে।
