স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১১ ফেব্রুয়ারি : প্রত্যেক বছরে খারিফ ও রবি মরশুমে খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে ও কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা কৃষকদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদি শক্তিশালী করতে ধান ক্রয় করা হয়। গত এক মাসে রাজ্যের ১৯ টি মহকুমা মোট ৫১টি সেন্টারে কৃষকদের কাছ থেকে ধান করা হয়। সম্প্রতি খারিফ মরশুমে মোট ১৭,৪৯৭.১০৯ মেট্রিক টন ধান ২৩ টাকা দরে ক্রয় করা হয়েছে।
এতে ৮ হাজার ৯২২ জন কৃষক সরাসরি উপকৃত হয়েছে। এর মধ্যে কৃষকরা পাবে ৪০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৩৫ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা কৃষকদের প্রদান করা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার কৃষকদের লক্ষী হিসেবে চিহ্নিত করে। কারণ কৃষকরা হলো অন্নদাতা। প্রবল বন্যার পরেও তারা উৎসাহ হারায়নি। সরকারি সহযোগিতায় তারা পুনরায় দাঁড়াতে পেরেছে। মন্ত্রী আরো জানান, যেসব কৃষকদের একাউন্টে এখন পর্যন্ত টাকা ঢুকে নি, বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। টেকনিক্যাল কারণবশত টাকা ঢুকেনি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে বলে জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, বিগত খারিফ মরশুমে কৃষকদের কাছ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়েছিল। এবার ১৭ হাজার মেট্রিক টন ধান করার ফলে সরকার সন্তুষ্ট।
এত বড় বন্যা হওয়ার পরেও লক্ষ্যে পৌঁছানো সাধারণ বিষয়ে মনে করছে না সরকার। এবং কৃষকদের আগামী দিন কিভাবে উৎসাহিত করে কৃষি কাজের প্রতি আরো বেশি ফসল উৎপাদন করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য দপ্তর এবং কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।