স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১১ ফেব্রুয়ারি : পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভয় মিশনের উদ্যোগে বন্যা ত্রান বিতরণ ও ম্যানেজমেন্টের উপর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ত্রিপুরা রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা হয়ে যায়। যা আগে কোন সময় দেখা যায় নি।
বন্যা মোকাবেলায় সকল স্তরের আধিকারিকরা ঝাপিয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবি সংগঠনও সরকারের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছে। বন্যা মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকারও সাহায্য করেছে। সকলে মিলে এক সাথে কাজ করার ফলে বন্যা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সাধারন মানুষও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বহু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে অর্থ দান করেছে। ত্রিপুরা রাজ্যের ১২ টি নদীর মধ্যে বন্যায় সময় ১১ টি নদীর বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বয়ে যায়। ৬ টি নদীতে জল স্তর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যায় দক্ষিন জেলা, গোমতী জেলা ও সিপাহীজলা জেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় প্রায় ১৭ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চার লক্ষ মানুকে ত্রান শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ৮৮৯ টি ত্রান শিবির খোলা হয়েছিল।
এত কিছু ব্যবস্থা করার পরও ৩৮ জন লোকের মৃত্যু হয়েছে। যা দুঃখ জনক বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। খুব কম সময়ের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান মনিপুরে যখন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ তখন সেখানে আটকে পড়া ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার মাধ্যমে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার ফলে এইটা সম্ভব হয়েছে। যেখানে দুর্যোগ পরিস্থিতি দেখা দেয় সাথে সাথে সেখানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমার, সদর মহকুমার মহকুমা শাসক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে এইদিন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।