Monday, March 17, 2025
বাড়িরাজ্যরাবার বাগান থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ, গ্রেপ্তার ৩

রাবার বাগান থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ, গ্রেপ্তার ৩

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১১ ফেব্রুয়ারি  : তিন বন্ধু মিলে সোমবার সন্ধ্যায় এক বন্ধুকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করে মৃতদেহ রাবার বাগানে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জম্পুইজলা ব্লকের টাকারজলা থানাধীন পাইল্লাভাঙ্গা এলাকায়। মৃত যুবক এলাকার রাবার শ্রমিক মঙ্গলচরণ দেববর্মা। বয়স২৬। জানা যায় মঙ্গলচরণ দেববর্মাকে সোমবার সন্ধ্যাবেলায় বৃদ্ধিবাজার এলাকার যুবক যজ্ঞু দেববর্মা, জিরানিয়া এলাকার জংসেন দেববর্মা এবং টাকারজলা পাইল্লাভাঙ্গা এলাকার গণেশ দেববর্মা মিলে মঙ্গলচরণ দেববর্মাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।

গভীর রাত পর্যন্ত মঙ্গল বাড়ি ফিরে না আসায় চিন্তায় পড়ে মঙ্গলের স্ত্রী জ্যোতিকা ত্রিপুরা। সারারাত মঙ্গল দেববর্মাকে খোঁজাখুঁজি করে তার স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজন। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকাল বেলা এলাকাবাসী রাবার বাগানে দেখতে পায় মঙ্গল দেববর্মা ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে আছে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী এবং মঙ্গলের স্ত্রী মিলে তাকে নিয়ে যায় টাকারজলা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তার মৃতদেহ ময়না তদন্ত হয় হাসপাতালের মর্গে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় টাকারজলা থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে মঙ্গলের স্ত্রী জ্যোতিকা ত্রিপুরা জানায় মঙ্গলের তিন বন্ধু তাকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় শ্যামনগর ছাইমুড়া এলাকায়। মঙ্গল দেববর্মার সাথে রাবার বিক্রি করার বেশ কিছু টাকা-পয়সাও ছিল। সারারাত তার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দিন সকালে তার দেহ রাবার বাগানে দেখতে পায় এলাকাবাসী। জ্যোতিকা ত্রিপুরা অভিযোগ তার স্বামীকে তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে

খুন করেছে। খুন করার পর তার দেহ রাবার বাগানে ফেলে দিয়ে যায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলচরণ দেববর্মার তিন বন্ধুকে আটক  করে নিয়ে আসে টাকারজলা থানায়।সেখানে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে তিন বন্ধু জানিয়েছে মঙ্গল বাইক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে তার বাড়ির কাছে রাবার বাগানে ফেলে দিয়ে যায় তারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা টাকারজলা এলাকায়। টাকারজলা থানার পুলিশ জ্যোতিকা ত্রিপুরা অভিযোগ মূলে একটি মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।এদিকে মৃতদেহ কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব জানা যায় তার দুই সন্তান রয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুললেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য