স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ এপ্রিল।ত্রিপুরায় শিল্প টানতে নতুন স্কিমের ঘোষণা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর এ মর্মে বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও, সেই অর্থে সফলতা প্রায় নেই। মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরার প্রতি তাদের আগ্রহ দেখাচ্ছে না। সীমান্ত রাজ্য, স্পেশাল ইকোনমিক জোন ইত্যাদি’ প্রচারে আনার পরও সেই অর্থে সদর্থক সাড়া না মেলায় এবার আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যের শিল্প বিকাশকে প্রস্ফুটিত করার লক্ষ্যে “ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ইনসেনটিভ স্কিম ২০২২” চালু করেছে রাজ্য সরকার। আজ নিজের সামাজিক গণমাধ্যমে এই ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এই প্রকল্পের অধীনে, রাজ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য কোম্পানি, এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান নতুন উদ্যোগে স্থায়ী মূলধন বিনিয়োগে এমএসএম ই’এর জন্য মূলধন বিনিয়োগ ভর্তুকি, অনির্ভরযোগ্য সেক্টরের জন্য ভর্তুকির সর্বোচ্চ সীমা ৬০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে হল ১০০ লক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য সেক্টরের ক্ষেত্রে ৭০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। নতুন বিধান অনুযায়ী জমি এবং দালান বাড়ি নির্মাণে, প্রতি বৃহৎ উদ্যোগীদের জন্য মূলধন বিনিয়োগ ভর্তুকি ২০০ লক্ষ টাকা। শিল্প পরিকাঠামো তৈরির জন্যও বেসরকারী উদ্যোগীদের মূলধন বিনিয়োগ ভর্তুকি প্রদান করা হবে যদি, জমির আয়তন ৩০ একরের উপরে হয় এবং মূলধন বিনিয়োগ ৫০০ লক্ষ টাকার উপরের সিলিং সাপেক্ষ বলে তিনি জানান। বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রশ্নে ২০ অশ্ব ক্ষমতা সম্পন্ন শিল্প সংস্থাগুলিকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিদান প্রদান করা হবে। রাজ্যের বাইরে থেকে কাঁচামাল আনার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে ১০শতাংশের পরিবর্তে ৫০শতাংশ পর্যন্ত পরিবহন ভর্তুকি প্রদান করা হবে বলেও নতুন বিধানে উল্লেখ করা হয়। নয়াদিল্লিসহ গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তারপর হঠাৎ করে নতুন এই প্রকল্পের ঘোষণার সঙ্গে নির্দিষ্ট কোন সম্ভাবনা জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা সময়েই জানা যাবে। আপাতত এই রাজ্যে নতুন প্রকল্প কতটা আশার আলো দেখায় সেটাই দেখার।