Sunday, February 16, 2025
বাড়িরাজ্যআম্বেদকর নিয়ে নাটক করছে কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা, প্রকৃত সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র...

আম্বেদকর নিয়ে নাটক করছে কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা, প্রকৃত সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি : রাজীব

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৭ জানুয়ারি : প্রদেশ বিজেপি সদর আরবান জেলার উদ্যোগে সংবিধান গৌরব দিবস উপলক্ষে এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিজেপি সদর কার্যালয়ের সামনে থেকে এই পদযাত্রাটি সারা শহর পরিক্রমা করে রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। এদিন এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন ২০২৪ সালে সংবিধানের ৭৫তম দিবস পালন করা হয়। তাই এ সংবিধান সম্পর্কে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এরই অঙ্গ হিসেবে সংবিধান গৌরব দিবস উদযাপন চলছে। এর সাথে বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার একসাথে রাজ্যের দশটি জেলাতে এই গৌরব দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন গত কয়েকদিন ধরে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে কনভেনশন করে নাটক করছে। বাবা সাহেব আম্বেদকরকে অপমান করা ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী এবং জহরলাল নেহেরু তারা বারবারই বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অপমান করেছেন। এই কংগ্রেসিরা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নির্বাচনে পর্যন্ত জয়ী হতে দেননি এবং সংসদে প্রবেশ করতে দেননি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নির্বাচনে লড়াই করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাবা সাহেব আম্বেদকর। তৎসঙ্গে কমিউনিস্টরা বাবা সাহেব আম্বেদকর কে অপমান করেছেন। কারণ বাবা সাহেব আম্বেদকর যখন সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ে উপনির্বাচন লড়াই করতে প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট প্রার্থী বলেছিলেন আম্বেদকরকে ভোট দেওয়া যাবে না। ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলে দাও।

এখন এই কমিউনিস্টরা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে মিছিল করছে। তাদের লজ্জা থাকা দরকার। শুধু তাই নয় কমিউনিস্টদের দলীয় সংবিধানে বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান পাল্টে দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের নাটকের তীব্র নিন্দা জানায় ভারতীয় জনতা পার্টি। আরো বলেন, দেশের আসল সংবিধানে কৃষ্টি সংস্কৃতি সব কিছু কথাই উল্লেখ ছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু এগুলি মুছে দিয়েছেন। তিনি দেশকে ভাগ করতে ৩৭০ ধারা কাশ্মীরে প্রবর্তন করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে এর বাধা দিয়েছিলেন বাবা সাহেব আম্বেদকর। কিন্তু বাবা সাহেব আম্বেদকরের কথা না শোনায় বিরোধিতা করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতৃত্ব শ্যামাপ্রসাদ। তাই শ্যামাপ্রসাদকে চক্রান্ত করে খুন করেছিল। স্বাধীন ভারতের প্রথম শহীদ শ্যামাপ্রসাদ। তারপর ২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৯ সালে ৩ ৭০ ধারা বিলুপ্ত করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই সংবিধানকে যদি কেউ প্রকৃত সম্মান করে থাকে তাহলে সেটা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনটাই বললেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যের। আরো বলেন এই ভারতবর্ষকে যদি শেষ করে থাকে তাহলে সেটা হল পরিবার তন্ত্র। তারা মানুষকে বোকা ভেবেছে। কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে এভাবেই সমালোচনার ঝড় তুললেন সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্য।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য