স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৩ জানুয়ারি : রাজ্যের দ্বিতীয় বিকল্প জাতীয় সড়ক দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত বেহাল অবস্থায় ধুঁকছে। ভগ্ন রাস্তা ও ধুলোবালির ফলে অতিষ্ঠ হয়ে বাজার ব্যবসায়ী ও ছোট যান চালকরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য সড়ক অবরোধ করে বসে। অবশেষ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানের অনুরোধে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে মানবিক দৃষ্টিকোণে বাজারে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেদিক বিবেচনা করে সড়ক অবরোধ মুক্ত করা হয়। এই সড়ক অবরোধের ঘটনাটি সংগঠিত হয় উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লকাধীন প্রেমতলা বাজারের ট্রাই জংশনে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার সকাল এগারোটা থেকে কদমতলা-চুরাইবাড়ি, কদমতলা-ফুলবাড়ি ও প্রেমতলা-কুর্তি এই তিনটি মূল সড়কের মিলনস্থল প্রেমতলা বাজারের ট্রাই জংশনে অবরোধে বসে বাজার ব্যবসায়ী ও যান চালকরা।
অবরোধকারীরা জানায়, পাথর বোঝাই ও মাটি বোঝাই ভারী যান চলাচলের ফলে প্রেমতলা ট্রাই জংশনটি ভেঙ্গে একেবারে চৌচির হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত পাথর ও মাটি বোঝাই লরি গুলির চাকায় বিকল্প ২০৮ নং জাতীয় সড়কের প্রেমতলা বাজার থেকে ত্রিপুরা অসম সীমান্তের ঝেরঝেরী পর্যন্ত দুই কিমি সড়ক ভেঙ্গে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে টমটম সহ ছোট যানবহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। শুধু তাই নয় সড়কটির ভগ্ন দশার ফলে ধুলাবালিতে একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় প্রেমতলা বাজারটি।ফলে মিষ্টি ও অন্যান্য খাবার দোকান সহ চায়ের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে পড়ার উপক্রম। সাথে অনান্য দোকানিরাও দোকান বন্ধ করার উপক্রম। এমনকি ক্রেতারাও ধুলোবালির ভয়ে বাজারে আসছেন না। পাশে থাকা ঘর বাড়িতে ধুলোবালির যন্ত্রনায় বসবাস করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেদিকে অবশ্য যেমন পাথর ব্যবসায়ী ও মাটি বহনকারীদের খেয়াল নেই, তেমনি নজর নেই রাজ্য সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। ফলে সাধারন বাজার ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরই কারণেই এদিনের অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধে বসেছিল অবরোধকারীরা। তাদের দাবি, অতিসত্বর বেহাল দুই কিমি সড়ক মেরামত করে দিতে হবে। কিন্তু অবরোধের দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও তথা বেলা সাড়ে বারোটা বেজে গেলেও কদমতলা ও চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ছাড়া অবরোধ স্হলে কোন জনপ্রতিনিধি অথবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন আধিকারিক আসেননি। অবশেষে কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মিহির রঞ্জন নাথের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অবরোধকারীরা আপাতত সড়ক অবরোধ মুক্ত করে দেয়। যেহেতু এদিন মকর সংক্রান্তির জমজমাট হাট বাজার রয়েছে সেই দিক থেকে মানবিক বিবেচনা করে বাজার ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ মুক্ত করে। কিন্তু অবরোধকারীরা জানায়, যেহেতু পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানের গোটা বিষয়টি নজরে রয়েছে তাই সপ্তাহ খানেক বিরতির পর তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সড়ক অবরোধে বসবে। শুধু তাই নয় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও জানান অবরোধকারীরা।