স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৮ জানুয়ারি : অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করে দেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও। অমরপুরের বীরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে অপহুত নাবালিকার পরিবারের লোকজন। নাবালিকার পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ নাবালিকাকে উদ্ধার করার জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে না বীরগঞ্জ থানার পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি অমরপুরের থাকছড়া পঞ্চায়েতের গোবিন্দ টিলা এলাকার এক নাবালিকাকে অপহরন করে নিয়ে যায় যতনবাড়ি এলাকার বাণিব্রত ঘোষের ছেলে প্রিয়ব্রত ঘোষ বলে অভিযোগ। প্রিয়ব্রত ঘোষের মা একজন শাসক দলীয় নেত্রী হিসাবে পরিচিত। নাবালিকা অপহরণের পর পরিবারের লোকজন বীরগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ জানানো হয়।
এবং দাবি জানানো হয় নাবালিকাকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করার জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়, ৫ জানুয়ারি নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে বীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু থানায় মামলা করার পর দুই দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে বুধবার নাবালিকার পরিবারের লোকজন এলাকাবাসিদের সাথে নিয়ে বীরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে। এলাকার এক মহিলা জানান পুলিশ কি করছে এলাকাবাসিরা কিছুই জানতে পারছে না। তাই এইদিন তারা থানা ঘেরাও করেছেন। থানার ওসির অনুপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারি অফিসারের সাথে কথা বলেন। মামলার তদন্তকারি অফিসার জানান নাবালিকা যেখানে রয়েছে, সেখানে সুস্থ ও ভালো রয়েছে। অপরদিকে মামলার তদন্তকারি অফিসার জানান নাবালিকাকে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চলছে। সিডিআর, এসডিআর আসতে কিছু সময় লাগে। তার জন্য নাবালিকাকে উদ্ধার করতে বিলম্ব হচ্ছে।নাবালিকার পরিবারের লোকজনদের প্রশ্ন মামলার তদন্তকারি অফিসার নিজেই যেখানে জানেন নাবালিকা কোথায় রয়েছে। তাহলে পুলিশ কেন নাবালিকাকে উদ্ধার করছে না? এখন দেখার পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে কিনা।
অসহায় মহিলার জমি জবর দখল করে এক মহিলাকে ভাড়া দিয়ে রাতের বেলা পুরুষ, মহিলার আসর বসাচ্ছেন কাউন্সিলর
আগরতলা। ৮ জানুয়ারি।
শাসক দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। সুমিত্রা সরকার নামে এক অসহায় মহিলার জমি জবর দখল করে এক মহিলাকে ভাড়া দিয়ে রাতের বেলা পুরুষ, মহিলার আসর বসাচ্ছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ইন কাউন্সিলর উদয় ভাস্কর চক্রবর্তী। ঘটনা রাজধানীর ডুকলি লোটাস ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে সহযোগিতা করছেন কানু বণিক নামে এক রাষ্ট্রবাদী নেতা। অভিযোগকারী সুমিত্রা সরকারের অভিযোগ, তিনি সারা জীবন অত্যন্ত কষ্ট করে ধার দেনা নিয়ে এই বাড়িতে ক্রয় করেছিলেন। শেষ বয়সে মাথা গুজার একটি সম্বল এটা। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বাড়িতে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। ভাড়াটিয়া উঠে যাওয়ার পর আচমকা একদিন এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পান স্থানীয় কাউন্সিলর উদয় ভাস্কর চক্রবর্তী এবং বিজেপি নেতা কানু বণিক দুজন তার বাড়িতে এক মহিলাকে ভাড়া দিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখেন এক অপরিচিত মহিলা তার বাড়ি দখল করে বসে আছে। সাথে সাথে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলার পর জানতে পারেন স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এই মহিলা বাড়িতে ভাড়া এসেছেন। তারপর বহুবার মহিলাকে বাড়ি থেকে উঠে যাওয়ার কথা বললে তিনি রাজি হন না। তারপর কাউন্সিলরের সাথে কথা বললে তিনি সেই মহিলাকে পরিচয় দেন তার মাসি হিসেবে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেই ভাড়াটিয়া মাসি এবং তার বোনের ছেলে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। কারণ অভিযোগ প্রতিদিন রাতের বেলা দূর-দূরান্ত থেকে বহিরাগত কিছু পুরুষ মহিলা বাড়িতে নিয়ে এসে আসর বসায় অভিযুক্ত কাউন্সিলার এবং বিজেপি নেতা কানু বণিক। তাদের কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ প্রতিনিয়ত অভিযোগ করে চলেছেন সুমিত্রা সরকারের কাছে। তিনি বর্তমানে ডুকলি বাজার সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। কিন্তু তার কথা শুনছে না অভিযুক্ত কাউন্সিলার। অবশেষে তিনি বুধবার সকালে আগরতলা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কিভাবে বাড়ি জবর দখল করে রাতের বেলা আসর চালানোর কারণে ওনার বদনাম হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরকার যাতে কঠোর আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের এলাকার বড় নেতা হিসেবেও পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র, এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে বহু নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে দুই রাষ্ট্র বাদি ছবি সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে। নেতা মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে সেই ছবিকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় তারা সুশাসনের নামে দুঃশাসন চালাচ্ছে। মানুষ তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এলাকায় কান পাতলে এমনটাই অভিযোগ শোনা যায়।