স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৮ জানুয়ারি : মন্ত্রী রতন লাল নাথের ডান হাত এবং বা হাতে যারা আছে তারা গত ৭ জানুয়ারি মোহনপুর জুড়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে। বুধবার সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ তুললেন সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস। তিনি বলেন, গত ৬ই জানুয়ারি মোহনপুরের বামুটিয়া কালিবাজারে নেশার বিরুদ্ধে ও কর্মসংস্থানের দাবি সহ ডিওয়াইএফআই একটি সভা করেছিল। সে সভায় মোহনপুর বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবক যুবতীরা এসেছিলেন।
যারা এ সভায় গিয়েছিল তাদের চিহ্নিত করে ৭ জানুয়ারি সকাল দশটা থেকে দুপুর আড়াইটা, তিনটা পর্যন্ত ব্যাপক সন্ত্রাস চালায় বিজেপি -র দুষ্কৃতকারীরা। নয়টি বাড়িতে গিয়ে নয়জনের উপরে শারীরিক নির্যাতন করে। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা হলো মোহনপুর পুর সভার বাইস চেয়ারম্যান শংকর দেব, মন্ডল নেতা বিকাশ দাস, নির্মল দেব, দিলীপ দাস, পুর কর্মচারী রঞ্জন দেবনাথ, ধীমান দেবনাথ।
যাদের বাড়ির ঘরে গিয়ে আক্রমণ করেছেন তারা হলেন জগতপুরের চিত্ররঞ্জন দেবনাথ, রাখাল রুদ্র পাল, তারাপুরের সুব্রত দেবনাথ, ফকির মুড়ার সাদিয়া খাতুন এবং তার ছেলে জাকির মিয়া, কাঠালতলির পূজা গোপন, গোপাল নগরের সুভাষ দেবনাথ, গোপালনগর টি গার্ডেন এলাকার বৃহস্পতি তাঁতি, ভরত তাঁতি। এর মধ্যে শাসক দলের দুর্বৃত্তদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বৃহস্পতি তাঁতি, ভরত তাঁতি, জাকির মিয়া, সাদিয়া খাতুন। এবং পূজা গ্রুপের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। তিনি আরো বললেন প্রায় পঞ্চাশ থেকে ৬০ জন দুর্বৃত্ত বাইক নিয়ে এই ঘটনাগুলি সংগঠিত করেছে। তারা সকলেই সমাজদ্রোহী বলে পরিচিত। তিনি আরো বলেন, তাদের কারণেই মোহনপুরে গণতন্ত্র নেই। ভোটের সময় তারা মানুষের ভোট লুট করে। সেখানে বিরোধী দলের সভা ও কোন কর্মসূচি করা যায় না এবং সিপিআইএম দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত করতে পারে না। অথচ এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিভিন্ন সময় বড় বড় কথা বলে চলেছেন। কিন্তু তার ডান হাত, বা হাত মিলে ৭ জানুয়ারির ঘটনা সংগঠিত করেছে বলে জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন সরকার কোথায়? শুধু তাই নয় পুলিশের ভূমিকা কি? গত কয়েকদিনে রাজধানীর কাসারী পট্টি, নরসিংগড় অনঙ্গ নগর এবং মোহনপুরে ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজনও গ্রেপ্তার হয়নি। এবং এলাকার বিধায়করা যেভাবে দাবি করছেন যে অভিযুক্তদের তিনি চেনেন না, তাহলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু করছেন না কেন? রাজনৈতিক আশ্রয় এবং প্রশ্রয় পাচ্ছে বলেই দুর্বৃত্তরা এই ঘটনাগুলি করে চলেছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে যারা এই ঘটনা সংঘটিত করছে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।