স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ এপ্রিল : শিক্ষা দপ্তরের সেকেন্ডারি এডুকেশন থেকে এস টি পি জি টি এবং এস টি জি টি -র ১৯৮ টি অফার ছাড়া হয়েছে সোমবার। রাজ্যের ২২ টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ককবরকের অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগের জন্য টি পি এস সি-কে বলা হয়েছে। এর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। সোমবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
আজকের ১৯৮ ছাড়া সেকেন্ডারি এডুকেশনে বর্তমান সরকার জি টি- তে ১৩১৩ জন, পি জি টি- তে ১৩২ জন , এল ডি সি- ১৬ জন এবং গ্রুপ ডি পদে ৩৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। মোট ১৬৯৪ জনকে নিয়মিত পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এলিমেন্টারি এডুকেশনে জি টি -তে ১১৬৮ জন, ইউ জি টি- ৪৫০ জন, এল ডি সি- ৩২ জন, গ্রুপ ডি পদে ২৮ জনকে নিয়োগ করা হয়। মোট ১৬৭২ জন। স্পেশাল এডুকেটর ২০০ জনকে নিয়োগ করার জন্য টি আর বি টি -কে বলা হয়েছে। তাদের সিলেকশন টেস্ট হবে ১২ জুন। আরও ৩০০ জন পি জি টি নেওয়া হবে বিদ্যাজ্যোতির জন্য। এর মধ্যে টি আর বি টি -র কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া আরও ১১০ জন পি জি টি নেওয়া অন্যান্য স্কুলগুলির জন্য। ২১০ জন জি টি সেকেন্ডারির জন্য ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। হায়ার এডুকেশনে ৩৬ জনকে অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। পলেট্যাকনিক কলেজের জন্য ৫৬ জন ল্যাকচারারকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। গ্রপ সি তে ৬ জন এবং গ্রুপ ডি- তে ১২ জনকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। মোট ১১০ জনকে হায়ার এডুকেশনে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আইন কলেজের জন্য ১১ জনকে টি পি এস সি-র মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। এছাড়া আরও ৪০ জন অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। ২০ জন প্রন্সিপাল নিয়োগ করা হবে। ২২ টি ডিগ্রি কলেজের জন্য ২২ জন অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর ককবরকের জন্য পরীক্ষা নিতে টি পি এস সি-কে বলা হয়েছে। এটা রাজ্যে প্রথম বলে জানান তিনি। অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর টিচার এডুকেশন পোগ্রামে এম এড কোর্স পড়ানোর জন্য ৬ জনকে নিয়োগ করা হবে। বি এইড কলেজের জন্য তাদের নিয়োগ করা হবে। প্রন্সিপাল ডিল্পোমা লেভেলে ৪ জন লোক নেওয়ার জন্য দপ্তর তৈরি হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
পাশাপাশি তিনি ডিগ্রী কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীরা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সোমবার রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। এটা দায়বদ্ধ সরকার। দায়িত্ব নিয়ে সকলকে কলেজে ভর্তি করানো ব্যবস্থা করবে। কিন্তু নিউ এডুকেশন পলিসি-তে গুণগত শিক্ষার জন্য এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হয়। যাতে বিশ্বের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেই সিদ্ধান্তের রাজ্যের ছেলেমেয়েদের কলেজে ভর্তি হতে কোন ধরনের সমস্যার শিকার হতে হবে না বলে জানান তিনি। ট্রান্সপারেন্সি পদ্ধতিতে সাধারণ ডিগ্রী কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া হবে। বিগত বছরগুলোতে অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু যারা ভর্তি হতে চেয়েছে তারা কেউ ভর্তি হতে পারেনি এমন হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীরা হয়তো পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। কিন্তু কলেজে ভর্তি হতে পেরেছে সকলে। সুতরাং বিভ্রান্ত যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা না হয় তার জন্য তিনি আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি আরো জানান এবার থেকে ইংরেজি মাধ্যম কলেজ শুরু হবে রাজ্যে। যেসব ছাত্রছাত্রী যায় ইংরেজি মাধ্যম কলেজে ভর্তি হতে চায়, তারা ভর্তি হতে পারবে বলে জানান এদিন।