স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জানুয়ারি : ত্রিপুরায় মূর্তি ভাঙ্গার প্রবণতা এবং দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করার কার্যকলাপ আগে ছিল না। ইদানিং এগুলি প্রসার ঘটাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচেষ্টা চলছে। শনিবার এক রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার। তিনি বলেন, যারা মূর্তি ভাঙছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তাই মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে সরকারকে শুধু বললে হবেনা।
সরকারকে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। তবে গত কয়েক মাসে লক্ষ্য করা গেছে রাজনৈতিক শক্তির দিক থেকেই মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এতে মানুষের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি বাড়ছে। কিন্তু এই বিভাজনগুলি তৈরি করার চেষ্টার মূল কারণ হলো কর্মসংস্থানের অভাব, জিনিসের দাম বাড়ছে, আর টাকার দাম কমছে। ফলে মানুষের আয় কমছে। ক্রয় করার ক্ষমতা নেই। তাই এগুলি নিয়ে কেউ যাতে আওয়াজ তুলতে না পারে তার জন্য মানুষকে ভিন্ন পথে ধাবিত করতে একটা অংশ এগুলি করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে জাতি জনজাতিদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এটা সামন্ত শাসন থেকে শুরু হয়েছে। এগুলি মোকাবিলা করেই আজ একটি জায়গায় আমরা পৌঁছেছে। আবার নতুন উদ্যমে এগুলি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। শুধু তাই নয়, যে ১৯ টি দফা রয়েছে তাদের মধ্যেও বিরত বাধানোর চেষ্টা চলছে। এগুলি কোনভাবেই কাম্য নয়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজন এই সংগঠনের নেতাদের ডেকে ঐক্য, শান্তি, সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে তার জন্য এগুলি থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে লক্ষ্য করা গেছে গন্ডাছড়া, রানীরবাজার, কদমতলা, পানিসাগর এবং সম্প্রতি সোনামুড়াতেও দুই অংশের মানুষের মধ্যে বিরোধ ঘটেছে। এগুলি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।