স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ডিসেম্বর : জন্মগত জটিল রোগে ভুগছে ধানপুরের বাগানবাড়ি এলাকার দুই বছর বয়সী এক শিশু। তার নাম আরমান হোসেন। তার বাবা সাদ্দাম হোসেন পেশায় দিনমজুর। মা কুলসুম বেগম। সন্তানের চিকিৎসা করাতে আর্থিকভাবে অচল মা বাবা। প্রায় ২ বছর আগে উদয়পুর টেপানিয়া স্থিত গোমতী জেলা হাসপাতালে জন্ম হয় আরমান হোসেনের। জন্মের প্রথম দু দিন কিছুই টের পায়নি অভিভাবকেরা। তৃতীয়দিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসার আগে মা – বাবা দেখতে পান তাদের সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলের পেট ফুলে আছে। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারে শিশু সন্তানটির পায়ুদ্বার বা মল ত্যাগের রাস্তা নেই।
সাথে সাথেই তাকে রেফার করা হয় আগরতলার হাপানিয়া হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক ভাবে একটি সার্জারি করা হয় আরমানের। তারপর জানা যায়, চিকিৎসকরা পার্থমিক ভাবে শিশুটির পেটে অপারেশন করে নল লাগিয়ে দেন। তারপর চিকিৎসক জানিয়ে দেন, দুই বছর পর পুনরায় একটি সার্জারি করতে হবে। সেই থেকেই সেই নলেই মল ত্যাগ করছে শিশুটি। মল ত্যাগের পর জল দিয়ে শৌচকার্য করানো সম্ভব হয় না শিশুটিকে। আরামনের ২ বছর বয়স হয়েছে কিছুদিন আগে। গত কিছুদিন আগে তার সার্জারির দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু সেই সার্জারির জন্য প্রয়োজন তিন লক্ষ টাকা। সেই টাকা পরিবারের লোকেরা জোগাড় করতে না পারায় উল্লেখিত অপারেশনটি করা সম্ভব হয়নি। আগামী ৩ জানুয়ারি ফের সার্জারি দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কিন্তু এবারও অর্থের জোগাড় হয়নি। অসহায় মায়ের দাবি সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও সংগঠনের পক্ষ থেকে যদি তার সন্তানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয় তাহলে তার সন্তানকে বাঁচাতে পারবে। আরো জানান, প্রতিমাসে তিনবার ডাক্তার দেখাতে হয়। প্রতি মাসে শিশুটির পেটে লাগানো নলটি একবার করে ডেসিং করতে হয়। এভাবে চিকিৎসা এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে পরিবারের জন্য। একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি। রাজ্য সরকার, এলাকার বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন আরমানের মা কুলসুম বেগম। সকলে যদি শিশুটি চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করে তাহলে সার্জারি করতে আর ব্যর্থ হবে না ছোট্ট আরমানের মা বাবা।