স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ ডিসেম্বর : আগরতলা শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাট। শহরবাসী এবং শহরে কর্মরত মানুষকে প্রতারণা জালে ফেলতে তাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেকটাই সক্রিয় হয়ে আছে। প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তারা শহরের মধ্যে বিভিন্ন কায়দায় প্রতারণা করে চলেছে বলে লাগাতার অভিযোগ উঠলেও ঠুঁটো জগন্নাথ প্রশাসন। এবার আগরতলা শহরে রামনগর রোড নং ২ -এর শেষ প্রান্তে অবস্থিত রেডিয়ান্ট কোম্পানি দ্বারা পাঁচতারা বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট গড়ে উঠেছে। ফ্ল্যাটটি গড়ে উঠার পর ফ্ল্যাটের মালিক এবং ম্যানেজারের যোগ সাজানে এলাকার সহজ সরল মানুষদের বেছে নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে বলেন যদি গ্যারেজের মধ্যে গাড়ি পার্কিং করতে চায় তাহলে চার লাখ টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থান পছন্দ করার জন্য।
সে অনুযায়ী স্থানীয় কিছু মানুষ এলাকার মানুষের মধ্যে কোন কিছু আলোচনা না করে চুপিসারে গ্যারেজের জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রথম কিস্তি ২ লক্ষ টাকা দিয়ে দেয়। প্রতারক ম্যানেজার দেবাশীষ সার্কেল তাদের বলেছিল দ্বিতীয় কিস্তির দুই লক্ষ টাকা গ্যারেজের জমি রেজিস্টার হওয়ার পর দিতে হবে। প্রতারকের আশ্বাস পেয়ে এলাকার ৭-৮ জন অতি উৎসাহী হয়ে বসে থাকে। এভাবে কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর এলাকাবাসী বুঝতে পারে তাদের সাথে প্রতারণা হচ্ছে। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ম্যানেজারের কাছে গেলে ম্যানেজার সাদা কাগজে স্বাক্ষর দেয়। এ স্বাক্ষর নিয়ে এসে আবার কিছুদিন কেটে গেলেও গ্যারেজের জমি আর রেজিস্টার হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারের কাছে যায়। পরবর্তী সময় স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে অভিযুক্ত ম্যানেজারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারপর বুধবার এলাকাবাসী ফ্ল্যাট চত্বরে পোস্টারিং করা হয়। পোস্টারিং -এ এলাকাবাসী সকলকে সতর্ক করে গোটা বিষয় অবগত করেছেন। পাশাপাশি তারা দাবি করেন যতদিন না পর্যন্ত এলাকার সাত থেকে আট জন ব্যক্তির টাকা ফেরত দেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত ফ্ল্যাট বিক্রি করা যাবে না। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার অমর সাহা এবং বাবুল চক্রবর্তী নামে দুই ব্যক্তি।