স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ডিসেম্বর : লাটে উঠেছে সুশাসনের কর্মসংস্কৃতি! সরকারি কর্মীদের দশটায় অফিসে আসার কথা থাকলো বেলা গড়িয়ে ঘড়ির কাঁটায় বারোটা। কিন্তু তহশীলদারদের অফিসে আসার মন চায় না। এমনটাই নিত্যদিন চলছে কমলাসাগর বিধানসভার গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত তহশিল অফিসে। দুপুর ১২ টা বেজে গেলেও অফিসে তালা ঝুলছে। নির্দিষ্ট সময়ে ইনকাম সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে তহশীল অফিসে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। কিন্তু অফিসের বাবুরা আসার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।
তারা মন গড়া ভাবে অফিসে যাতায়াত করছে। ফলে পরিষেবা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দপ্তরের একাংশ কর্মচারীদের অবহেলার কারনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে পরিলক্ষিত হয় কর্মচারীদের ফাঁকিবাজি। সকাল দশটায় অফিস খোলার কথা থাকলেও তহশিল খোলা হচ্ছে সাড়ে এগারোটায়, পঞ্চায়েত খোলা হয় বেলা বারোটা। দপ্তরের একাংশ ফাঁকিবাজ কর্মচারীদের দরুন বিভিন্ন ভাবে ভোগান্তির শিকার জনসাধারণ। কিন্তু অভিযোগ তুলেছে তারা আগেও কয়েকদিন এসে ঘুরে গেছেন। আজকেও এসে দুপুর বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। কর্মীদের সাথে এ বিষয়ে কোন কিছু বললে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বলে কখনো ব্লকে গেছে, আবার কখনো দপ্তরের কাজে অন্যথায় গেছেন। সাধারণ জনগণের অভিযোগ চিত্রটা আজকে নতুন নয় প্রতিনিয়তই এভাবে অফিস ফাঁকি দিয়ে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করছে কর্মচারীরা। এমনকি গত কয়েকদিন আগে লক্ষ্য করা গেছে বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিসে পর্যন্ত গিয়ে কর্মীদের অনুপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন খোদ বিধায়ক। শক্ত গলায় নির্দেশ দিলেও বিধায়ককের কথায় কতটা কর্মসংস্কৃতি ফিরেছে সেটা এখন বড় বিষয়।