স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর : বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে এ -হেল্প নামে এক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক। অনুষ্ঠানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রত্যেকটি দপ্তরের মতো প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরও কাজ করে চলেছে। তবে যারা এ দপ্তরের হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অবশ্যই পশু পালনের পরিচর্যা সম্পর্কে আরও বেশি অবগত হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৭৭ জন সক্রিয় পশু সখি রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বাকিদের আগামিদিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন ডিম ও দুধ উৎপাদনে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। বৈজ্ঞানিক চিন্তা ধারা নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী ডিম ও দুধ উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন পশু সখিদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন এই পশু সখিরা প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে পশু পালকদের পরিষেবা প্রদান করবে। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর দিয়ে রাজ্যের জিএসডিপি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিন যেমন আশা কর্মী রয়েছে তেমনি প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিন রয়েছে পশু সখি। আশা কর্মীদের মতো কাজ পশু সখিদের। পশু পাখির জিবন সুরক্ষার জন্য পশু সখিরা কাজ করবে। পশু পাখির ইনস্যুরেন্স করার কাজে সহযোগিতা করবে পশু সখিরা। প্রতিটি পশুর ইনস্যুরেন্স করার জন্য ইনসেন্টিভ পাবে পশু সখিরা। এইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, মন্ত্রী সুধাংশু দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে এইদিন পশু সখিদের হাতে একটি করে ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।