স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ নভেম্বর : বিগত দিনে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রাজ্যের রোগীদের নিয়ে যেতে হতো বহিঃরাজ্যে। সেখানে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কিডনির প্রতিস্থাপন করতে হতো। এর জন্য প্রয়োজনে বাড়িঘর পর্যন্ত বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে যেত রোগীর পরিবার। কিন্তু এখন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আর রাজ্যের বাইরে যেতে হয় না।
সম্প্রতি জিবি হাসপাতালে দুজনের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। তবে পরিষেবা আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সেই বিষয় নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তার মানিক সাহা। রবিবার অল ত্রিপুরা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং এগিয়ে চলো সংঘের সহযোগিতায় আয়োজিত রক্তদান উৎসবে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন। এগিয়ে চলো সংঘে আয়োজিত রক্ত উৎসবে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে তিনি আরো বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের দায়িত্বে থাকা মনিপুরের সিজা হাসপাতালের সাথে কথা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের দুটি কিডনি প্রতিস্থাপনে সফলতা এসেছে। দুটি কিডনি বিনামূল্যে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে জিবি হাসপাতালে। কিন্তু রাজ্যের বাইরে গিয়ে রোগীর পরিবার যদি কিডনি প্রতিস্থাপন করত তাহলে তাদের ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হতো। সেই অর্থ ব্যয় হয়নি রোগীর পরিবারদের।
পাশাপাশি কিডনি প্রতিস্থাপনের দায়িত্বে থাকা মনিপুরের সিজা টিমের সাথে কথা হয়েছে কিভাবে মৃত ব্যক্তির কিডনি একজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। সে বিষয় নিয়ে আলোচনার পর তারা জানিয়েছে প্রথমে কোন ঝুঁকি নেবে না, কিন্তু রাজ্যের ডাক্তাররা যখন কিডনি প্রতিস্থাপনে পারদর্শী হবে এবং রাজ্যে রোগী বাড়বে তখন ধীরে ধীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করা হবে। তাহলে আর রাজ্যের বাইরে যেতে হবে না কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। আয়োজিত রক্ত উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপঙ্কর মজুমদার সহ অন্যান্যরা। পরবর্তী সময় রক্তদান শিবির পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।