স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ এপ্রিল : রাজ্যে কোনো রকম রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ঘটনা ঘটলে দিল্লি থেকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে ঘটেছে। তখন প্রতিক্রিয়া জানানো হয় যখন ভারতীয় জনতা পার্টির ওপর আক্রমণ শানিত হয় তখন ভারতীয় জনতা পার্টির যুবকদের রক্ত টগবগ করে। তখন দিল্লি থেকে বলা হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকলেই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।
কিন্তু এর জন্য গুন্ডাগিরি করে নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি এই মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়। বুধবার ৮ নং টাউন বড়দোয়ালী মন্ডলের ২০ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে শান্তিপাড়া পুকুর পাড় এলাকায় বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান এবং যোগদান সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন চাকুরী নিজে গ্রহণ করা নয়, চাকুরী প্রদান করার জন্য ইচ্ছে শক্তি হবে। তাহলেই আত্মনির্ভর ভারত এবং আত্মনির্ভর ত্রিপুরার গড়ার স্বপ্ন সফল হবে।আত্মনির্ভর ভারত এবং আত্মনির্ভর ত্রিপুরা করতে সরকার কাজ করে চলেছে। এবং এর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কথা চিন্তা করে। তিনি আরো বলেন ত্রিপুরা রাজ্যে যেখানে একজন বিধায়কের ভারতের জনতা পার্টির ছিল না, সেখানে আজ রাজ্যসভার সাংসদ ভারতীয় জনতা পার্টি এবং স্বশাসিত জেলা পরিষদে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। দিনদিন দলের প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়ছে। তবে যোগদানে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, জনসেবা করতে হবে। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একমাত্র রয়েছে যারা মানুষের সেবার কথা চিন্তা করে।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া হবে। সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ঘরে ঘরে জল, বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এবং করোনা মহামারী সময় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার কারণে মৃত্যুহার দেশে অনেকটাই কম। এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তুলেছেন, তাতে ত্রিপুরায় সংক্রমণ অনেকটাই কম। যোগদান সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আসা ৩৫ জন যোগদানকারীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলের স্বাগত জানান মানিক সাহা। অনুষ্ঠানের শেষে এলাকার গরীব-দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, কাউন্সিলর রত্না দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।