স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ নভেম্বর : বৃহস্পতিবার রাজ্য সফরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য মাধবরাও সিন্ধিয়া। শুক্রবার তিনি রাজ্য ভিত্তিক জনজাতি গৌরব দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারপর রাজ্যে উন্নয়ন মূলক কাজের বিষয় নিয়ে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রীসভার সদস্য সদস্যা ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান ডোনার মন্ত্রক থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য একটা রূপ রেখা প্রস্তুত করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প। বিগত ১০ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার গুলি সম্মিলিত ভাবে কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির জন্য পূর্বের তুলনায় অধিক অর্থ বরাদ্দ করা হয়। বিগত ১০ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। একটা সময় সিকিম ও অরুনাচল প্রদেশে কোন বিমান বন্দর ছিল না। বর্তমানে এই দুইটি রাজ্যেও বিমান বন্দর হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের জিএসডিপি প্রায় ৯০ হাজার কোটিতে পৌঁছে গেছে।
ত্রিপুরা রাজ্যে মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথা পিছু আয় বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার। স্বাক্ষরতার দিক থেকে সমগ্র দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ কংগ্রেস সরকারের সময় কেন্দ্র থেকে ত্রিপুরা রাজ্য পেয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিগত ১০ বছরে কেন্দ্র থেকে ত্রিপুরা রাজ্য পেয়েছে ৪৭ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কেন্দ্র থেকে রাজ্য পাবে ৮ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রান্ট ইন এইড হিসাবে কেন্দ্র থেকে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার পেয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য মাধবরাও সিন্ধিয়া এইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে ত্রিপুরা রাজ্যে উন্নয়ন মূলক কাজ করা ওনার সাংবিধানিক দায়িত্ব। তার পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে ওনার এক পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি সংকল্প নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নে আগামিদিনেও কাজ করবেন। এইদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য মাধবরাও সিন্ধিয়ার সাথে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, মন্ত্রী রতন লাল নাথ, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।