স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ নভেম্বর : বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মা বাবা তুলে গালিগালাজ করার প্রতিবাদে এক শিক্ষককে অর্ধনগ্ন করে জুতো এবং ঝাঁটা পেটা করল ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা। ভাঙচুর করা হলো বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বাইক। নিরব দর্শক প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনা শুক্রবার খোয়াই জেলার কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ মূলে খবরে প্রকাশ, কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক বিপুল বিশ্বাস বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের মা-বাবা তোলে গালিগালাজ করেছে। তাই বলে এই ঘটনার সাক্ষী হতে হলে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা। অভিযোগ মূলে জানা গেছে, বিপুল বিশ্বাস নামের কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষক “সিভিন লার্নিং চ্যাট প্রাইভেট লিমিটেড”- কোম্পানির চুক্তিবদ্ধ কর্মী হিসেবে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় যোগদান করার পর থেকেই নাকি ছাত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য করে আসছে। গত ছয় মাস পূর্বে নাকি এক ছাত্রীর সঙ্গে কোন এক বিষয় নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছিল বিদ্যালয়ে চত্বরে। কিন্তু বিদ্যালয়ের এস.এম.সি কমিটির মাতব্বরা বিদ্যালয় চত্বরে সালিশি সভা করে ঘটনাটি রফা দফা করেছিল বলেও খবর। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে ওই শিক্ষক কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর পরই ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মা সহ অভিভাবকদের ঘটনা সম্পর্কে অবগত করলে প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মা কোন এক অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ ছিলেন। পরবর্তীতে উত্তেজিত অভিভাবকেরা এবং ছাত্রছাত্রীরা মিলিতভাবে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসকে স্টাফ রুম থেকে মারধর করে বের করে আনে। তারপর বিদ্যালয়ের মাঠে এই শিক্ষককে অর্ধনগ্ন করে জুতো পেতা ও ঝাড়ু পেটা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলায় ছুটে যায় বিদ্যালয়ের এস.এম.সি কমিটির মাতব্বর সহ তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসকে থানায় নিয়ে আসে, যদিও পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় শিক্ষকের নাম ধাম দিয়ে অভিযোগ করা হয়। ওই শিক্ষকের বক্তব্য, তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টাই পুলিশের তদন্ত সাপেক্ষ।