স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ নভেম্বর : গত শুক্রবার বিকেল থেকে উদয়পুর মহকুমা ধ্বজনগর স্থিত নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে সনাতন ধর্ম সম্মেলন ও সংকীর্তন শুভযাত্রা শুরু হয়। শনিবার সনাতন ধর্ম সম্মেলন শেষ দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ ভক্তদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। মুখ্যমন্ত্রী এই মহা সম্মেলন এসে বলেন এই সনাতন ধর্ম সম্মেলন, সংকীর্তন শুভযাত্রা ও দামোদর ব্রত উদযাপন উপলক্ষে রাজ্যে এবং দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে মায়াপুর, মথুরা, নবদ্বীপ, হরিদ্দার থেকেও বহু সাধু সন্ন্যাসীরা এই ধর্মশালা উপস্থিত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠ আগরতলা জগন্নাথ বাড়ি সাধু সন্ন্যাসীরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করে সারা রাজ্যে বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যে সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে একটা ভাতৃত্বের বার্তা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর প্রতিদিন যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন সনাতনীদের উপর আক্রমণ বন্ধ না হলে সারা বিশ্ববাসী তাদের ক্ষমা করবে না। অতীতেও সনাতনের উপর আক্রমণ করে সনাতনীতে যেমন সরাতে পারেনি, ভবিষ্যতে তা পারবে না বলে তিনি জানান। সাধু সন্ন্যাসীরা এ রাজ্যে এসে শান্তির বার্তায় দিয়ে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন ত্রিপুরা শান্তির রাজ্য। অতীতে আমরা দেখেছি শান্তির নামে অশান্তির বাতাবরণ নেমে এসেছিল।
দীর্ঘ ৩৫ বছর যারা শাসন ক্ষমতা ছিল তারা ধর্মীয় স্থানে কখনো পা ফেলতে দেখা যায়নি। তারা নাস্তিক ছিল। ভগবানকে বাদ দিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই এ সরকার ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যখন রাজ্যের শান্তির পরিবেশ বজায় রয়েছে তখন মাঝে মধ্যে কেউ কেউ এই শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য ঘৃণ্য চক্রান্তে মেতে উঠে। সরকার এগুলি বরদাস্ত করবে না। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে বিগতবছর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নীচের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে ছিল, আর এবছর তৃতীয় স্থানে এসেছে। তাতেই বুঝা যায় রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই সাধু সম্মেলনে রাজ্যে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক অভিষেক দেব বায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, শান্তি কালী আশ্রমে চিত্ত মহারাজি সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও চৈতন্য গৌড়ীয় মঠের সাধু সন্ন্যাসীরা ছিলেন উপস্থিত।